শততম জন্মদিনের আলোচনা সভা: মোজাফফরের আদর্শিক রাজনীতির চর্চা করতে হবে
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ বাম রাজনীতির বাতিঘর ন্যাপের সাবেক সভাপতি প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের সংগ্রাম,সততা,দেশপ্রেম ও আদর্শিক রাজনীতির চর্চা করতে হবে।স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা আজ ভূলুণ্ঠিত।সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ,লুটেরাদের দৌরাত্ম,গণতন্ত্রহীনতা এবং বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি দেশের গরীব সাধারন মানুষ এবং মধ্যবিত্ত মানুষকে বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা বিরাজ করছে।এই শূন্যতা পূরণে ও সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় সকল প্রগতিবাদী, ত্যাগী ও সৎ মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের শততম জন্মদিনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাপের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এমএ ওহাব । সভা সঞ্চালনা করেন পরিতোষ দেবনাথ এবং অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম । বক্তব্য রাখেন. ন্যাপের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এনামুল হক, অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, ডাক্তার মোহনলাল সরকার, হাসান কামরুন, মোস্তফা মাহমুদ, নাসিমা হক রুবি, এডভোকেট আওলাদ হোসেন, গোবিন্দ চন্দ্র সাহা, অধ্যাপক মোহাম্মদ শান্তি হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, দেলোয়ার হোসেন টুটুল, আ: মতিন মাস্টার, শেখ আব্দুর রশিদ, বশির আহমেদ, রায়হান আলি রাজ, মোহাম্মদ নজিউল্লাহ, খান মতিয়র রহমান, এনামূল হক ভূঁইয়া, শেখ শাহীন প্রমূখ। কানাডা থেকে মাসুদুর রহমান মাসুদ, ইতালি থেকে আলী হোসেন, মালদ্বীপ থেকে মাকসুদা হক রিমী প্রমুখ। ন্যাপ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোঃ গোলাম ফারুক, ডক্টর সামাদ শিকদার, এডভোকেট আব্দুল বাতেন, ভরত বিশ্বাস পার্থ, শরীফ হাসান, আনোয়ার জাহিদ পিকু, নুরুজ্জামান খান, এডভোকেট আব্দুল মালেক, তপন রায়, খন্দকার হাফিজ ফারুক, সৈয়দ মইনুল হাসান সুমন, জাভেদ আহমেদ বাবু, নাজিয়া ইসলাম, অলিউর রহমান,দীপা খন্দকার, পারমিতা হক প্রমুখ।
আমেরিকা থেকে মাহফুজ আলী টুকু কানাডা থেকে ডঃ সৈয়দ নাকভিসহ সারাদেশের ন্যাপ নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন।যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ন্যাপের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য প্রবীণ নেতা এডভোকেট শফিকুর রহমান, কক্সবাজারের সংগ্রামী নেতা শামীম আহমেদ, পটুয়াখালীর ন্যাপ নেতা কাজী দেলোয়ার হোসেন দিলিপসহ অনেকেই সংযুক্ত হতে পারেননি। তারা মোবাইলের মাধ্যমে আলোচনা সভায় সংহতি প্রকাশ করেন।বক্তারা আরো বলেন, বাম রাজনীতিতে শিশুসুলভ আচরণ চলে না । এখানে দক্ষতার সাথে, সততার সাথে, মেধা দিয়ে, আন্দোলন-সংগ্রামের অভিজ্ঞতা দিয়ে, তত্ত্বগত জ্ঞানের আলোকে পার্টিকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হয় ।এটাই নেতার দায়িত্ব । নেতৃত্বের দায়িত্ব । অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন।সাম্প্রদায়িকতা, পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের সংগ্রামে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ছিলেন আপোষহীন।দেশে গণতন্ত্রহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি-লুটপাট, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে, মানুষের শান্তিতে নিরাপদে জীবনযাপনের দাবিতে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মোজাফফর আহমদের আদর্শিক চেতনায় ন্যাপকে গড়ে তোলা আজ দেশের সকল নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি।
দেশের সকল প্রগতিবাদী মানুষ ন্যাপকে মাঠে দেখতে চায় । দৃশ্যমান দেখতে চায়। সামাজিক দুর্বিষহ অবস্থার বিরুদ্ধে, গণমানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ন্যাপকে জনতার কাতারে থাকতে হবে । আন্দোলনের পুরোভাগে থাকতে হবে।গণতন্ত্রবিহীন অবস্থায়, কর্মসূচি বিহীন অবস্থায়, আন্দোলন বিহীন অবস্থায় একটি বামপন্থী দল চলতে পারে না।বক্তাগণ ন্যাপের আদর্শে, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সারাদেশে ন্যাপকে গড়ে তোলা এবং গণ মানুষের সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান।বক্তারা আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু জাতির জনক।মাওলানা ভাসানী, মোজাফফর আহমদ,মণি সিংহ,তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম,এইচ এম কামরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর মতো নেতারা ছিলেন জাতির কারিগর ।ভাষা আন্দোলন,যুক্তফ্রন্ট গঠন,স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন,সর্বোপরি স্বাধীনতা যুদ্ধে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের অবদান জাতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।