শমশেরনগর হাসপাতাল এবার আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে এলেন বৃটেন প্রবাসী কবি খালিদ সাইফুল্লাহ
সালেহ আহমদ
সত্যবাণী
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর হাসপাতালে এবার আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসলেন কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালের ভূমিদাতা মরহুম মকবুল আলীর পৌত্র বৃটেন প্রবাসী কবি খালিদ সাইফুল্লাহ রহমান।সোমবার (১ জুলাই) রাতে শমশেরনগর হাসপাতাল কমিটির সভাপতি শিল্পী সেলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে হোয়ার্সআপে এক ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।শমশেরনগর হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক ময়নুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করে সাংবাদিক মজিবুর রহমান রঞ্জু, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ব্যাংকার সৈয়দ সোহেল আহমেদ, মোজ্জামেল চৌধুরী টিপু, একাউন্টেন্ট তরিকুর রশিদ চৌধুরী শওকত, সাংবাদিক আলাউর রহমান খান শাহীন, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক মোস্তাক আহমেদ ও গবেষক কবি সৈয়দ মাসুম প্রমুখ।ভার্চ্যুয়াল সভায় কমলগঞ্জ সরকারি হাই স্কুলের খেলার মাঠ ও কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালের ভূমিদাতা মরহুম মকবুল আলীর পৌত্র কবি ও গবেষক খালিদ সাইফুল্লাহ রহমান হাসপাতাল তহবিলে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন।লন্ডনে একজন অভিবাসী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও খালিদ সাইফুল্লাহ এর এই অনুদানে সকলেই বিমোহিত হন। দানবীর আলহাজ্ব কেরামত আলী এমএলএ ও দানবীর মরহুম মকবুল আলীর রক্তের সুযোগ্য উত্তরাধিকারী খালিদ সাইফুল্লাহ রহমান ছাত্রাবস্থায় হাসপাতাল তহবিলে বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বলে আলোচকবৃন্দরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দানবীর পরিবারের সন্তান তরুণ গবেষক ও কবি খালিদ সাইফুল্লাহ রহমান গত বছর উচ্চ শিক্ষার্থে বিলেত পাড়ি জমিয়েছেন এবং তিনি ইতিমধ্যে আইন বিষয়ে ইংল্যান্ডের একটি স্বনামখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম সম্পন্ন করে ব্যারিষ্টারী সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিচ্ছেন।উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর মরহুল কেরামত আলী এমএলএ ছিলেন খালিদ সাইফুল্লাহর দাদা মরহুম মকবুল আলী সাহেবের আপন ভাই।খালিদ সাইফুল্লাহ লেখাপড়ার পাশাপাশি লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত। ইতিপূর্বে তার রচিত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। যা সুধী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একজন অনুসন্ধানী লেখক হিসাবে খালিদ সাইফুল্লাহ সমধিক পরিচিত।মরহুম মকবুল আলী সাহেবের পুত্র রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী মরহুম বজলুর রহমান সাহেবের একমাত্র পুত্র খালিদ সাইফুল্লাহ ২০২২ সালে একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী থাকা অবস্থায় উচ্চ শিক্ষার্থে বিলেত পাড়ি দেন। বর্তমানে তিনি আইন বিষয়ে বিলেতে লেখাপড়া করছেন। তাঁর অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।