শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের নির্যাতনে উজির মিয়ার মৃত্যুতে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পুলিশের নির্যাতনে উজির মিয়া নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের আদালত চত্তরে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আশিক মিয়া সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল জলিল, আইনজীবী মাসুক আলম, রুহুল তুহিন, মনীষ কান্তি দে মিন্টু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শান্তিগঞ্জের শত্রুমর্দন গ্রামের বাসিন্দা উজির মিয়া গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে মারা যান। একটি গরু চুরির মামলায় শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। এরপর ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে ওই দিন দুপুরে উপজেলার পাগলাবাজার এলাকায় লাশ নিয়ে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। পরে প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বাড়ি থেকে উজির মিয়াকে ধরে নিয়ে যায় শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ। এরপর থানায় নিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরদিন তাঁকে একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ওই দিনই আদালত থেকে উজির মিয়া জামিনে ছাড়া পান। বাড়িতে আসার পর উজির মিয়ার সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর উজির মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে তাঁকে আবার বাড়িতে আনা হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ছাতকের কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উজির মিয়ার পরিবারের অভিযোগ, শান্তিগঞ্জ থানার এসআই আক্তারুজ্জামান, দেবাশীষ সূত্রধর ও পার্ডন কুমার সিংহ উজির মিয়াকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করেছেন। এদিকে উজির মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন একটি ও পুলিশের করা পৃথক দু’টি কমিটি তদন্ত কাজ করছে।