শান্তিরক্ষীদের অবদান দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ জাতিসংঘের আহ্বানে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সাড়া দিতে পারেন সেজন্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে এবং দেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি আমি আমার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। একইসঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এছাড়া শান্তিরক্ষী সদস্যরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার দ্বারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ওইসব দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে শান্তি রক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই অর্জিত ফসল।

১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, জাতির পিতা তার ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তি প্রিয় ও বন্ধুপ্রতিম সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠাকালে শাহাদাত বরণকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।এ উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা প্রধানমন্ত্রী গর্বভরে স্মরণ করেন এবং শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।শেখ হাসিনা ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং সকল শান্তিরক্ষীর সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করেন।

You might also like