শাহ আব্দুল করিমের ১০৫ তম জন্মবার্ষিকী আজ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

বিনোদনঃ ‘বন্দে মায়া লাগাইছে পীরিতি শিখাইসে’, ‘তোমরা কুঞ্জ সাজাওগো’, ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’র মতো এমন অসংখ্য জনপ্রিয় বাউল গান ও গণসংগীতের রচয়িতা বাউল শাহ্ আবদুল করিমের আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১০৫ তম জন্মবার্ষিকী। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর জন্ম বাংলার লোকসংস্কৃতি ভান্ডার খ্যাত ভাটি অঞ্চলে, বাংলা ১৩২২ (ইংরেজি ১৯১৬) সালে। কিংবদন্তি এই শিল্পী ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

আব্দুল করিমের জন্মবার্ষিকীতে প্রতি বছর জন্মস্থান উজানধল ও সুনামগঞ্জে বিশাল আয়োজনের অনুষ্ঠান হলেও এবার করোনা মহামারির কারণে ছোট পরিসরে অনুষ্ঠান করবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি।অত্যন্ত সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন তিনি। গানে-গানে অর্ধ শতাব্দিরও বেশি সময় লড়াই করেছেন সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। তিনি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রেরণা ও গণসংগীত গেয়ে গেয়ে লাখ লাখ তরুণকে উজ্জীবিত করেছেন। পেয়েছেন একুশে পদক।

বাউল শিল্পী আল হেলাল বলেন, শাহ আব্দুল করিম স্মৃতি জাদুঘর ও মাজার হয়েছে। এখন যদি একটা সঙ্গীতালয় হয় তাহলে আমরা বাউলরা যারাই আসব তারা শাহ আব্দুল করিমের গানগুলো লালন করতে পারব।বাউল শিল্পী কবির আহমদ জানান, আমরা বাউলরা গানের মাধ্যমে শাহ আব্দুল করিমকে ধরে রাখতে চাই। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই শাহ আব্দুল করিমের নামে একটা সঙ্গীত বিদ্যালয় নির্মাণ করা হোক।

সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শাহ আব্দুল করিমের জন্মবার্ষিকীতে করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান করা হবে। আব্দুল করিমের স্মরণে তার গ্রামের বাড়ি উজান ধলে একটি সঙ্গীতালয় একাডেমি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে উপযুক্ত জায়গা খোঁজা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে জায়গা বাছাই করে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য। প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই একাডেমির নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

You might also like