শিল্ডিংয়ে থাকা শিশুদের সহায়তামূলক কাজের জন্য জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেলো টাওয়ার হ্যামলেটস টুগেদার
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
টাওয়ার হ্যামলেটসঃ কোভিড-১৯ মহামারীর সময় শারীরিকভাবে সবচেয়ে অসুস্থ ও দুর্বল শিশুদের সার্বিক সহায়তায় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এবং এনএইচএস পার্টনারশীপের কাজ অত্যন্ত মর্যাদাকর একটি এওয়ার্ড জেতার মাধ্যমে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।স্থানীয় স্বাস্থ্য ও সোশ্যাল কেয়ার সংগঠনসমূহের সমন্বয়ে গঠিত টাওয়ার হ্যামলেটস টুগেদার হেলথ সার্ভিস জার্নাল (এইচএসজে)র বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে লোকাল কোভিড-১৯ রেসপন্স পার্টনারশীপ এওয়ার্ড জয়লাভ করে। এই অনুষ্ঠানটি গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়।ক্লিনিক্যালী মারাত্মকভাবে অসহায় ও দুর্বল শিশু এবং তাদের পরিবার যারা মহামারীর সময় শিল্ডিং অর্থাৎ চূড়ান্তভাবে নিরাপত্তামূলক বলয়ে থাকতে হয়েছে, তাদেরকে সহায়তা দিতে এই পার্টনারশীপ দারুণ কাজ করেছে, যা এই এওয়ার্ড লাভের মধ্য দিয়ে স্বীকৃতি অর্জন করলো।
টাওয়ার হ্যামলেটসের চিকিৎসা বা শারিরীকভাবে সবচেয়ে অসহায়-দুর্বল শিশুদের জন্য কোভিড-১৯ মহামারী সম্পূর্ণ অন্য ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছিলো।যেমন শিল্ডিংয়ে থাকা মানে স্কুলে যেতে না পারা,বাইরের পরিবেশে খেলাধূলা করার নিতান্তই সীমিত সুযোগ এবং সামাজিকভাবে মেলামেশার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কম সুযোগ পাওয়া। কিছু কিছু পরিবারের জন্য অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ ছিলো স্বল্প আয়, ওভার ক্রাউডিং অর্থাৎ গাদাগাদি পরিবেশে বসবাস করা এবং জটিল স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনীয়তাকে মেটানো।
শিল্ডিংয়ের প্রয়োজন আছে এমন প্রতিটি বাচ্চাকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা, তাদের পরিবার ও স্কুলকে তা অবহিত করা এবং গোটা পরিবারের চাহিদা মেটানোর মত সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার নিশ্চিত করতে বহু এজেন্সি গ্রুপ গঠন করেছিলো টাওয়ার হ্যামলেটস টুগেদার।কাউন্সিলের চিলড্রেন্স সার্ভিসেস এবং এনএইচএস এর স্টাফদের সমন্বয় করে এই গ্রুপ ক্লিনিক্যালি ভালনেরবল শিশু আছে এমন ৮০০ পরিবারকে কল করার মাধ্যমে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে। এই কলের মাধ্যমে তাদের যে ধরনের সহায়তা দরকার তা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী কাউন্সিলের চিলড্রেন এন্ড ফ্যামিলিজ সার্ভিসেস এ ৯ শতাধিক রেফারেল পাঠানো হয়।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী এবং কমিউনিটি সংগঠনগুলোর সহায়তা কাউন্সিলের চিলড্রেন্স সার্ভিসেস মানসিক গঠনে সহায়তা করতে সক্ষম এমন ক্রীড়া সরঞ্জামাদি, ক্রাফটস্ অন্যান্য উপকরণ ভর্তি ব্যাগ সরবরাহ করে। ইস্ট লন্ডন বিজনেস এল্যায়েন্সের মাধ্যমে এসব সামগ্রী ও উপকরণ দান হিসেবে পাওয়া যায়।এ প্রসঙ্গে মেয়র জন বিগস বলেন, ক্লিনিক্যালি এক্সট্রিমলি ভালনারেবল বাচ্চা রয়েছে এমন পরিবারগুলো জন্য মহামারির সময়কালটি ছিলো সবচেয় চ্যালেঞ্জিং। আমাদের সকল বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে কাউন্সিল হিসেবে আমরা পাবলিক ও ভলান্টারি সেক্টরে আমাদের পার্টনারদের সাথে কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা অঙ্গিকারাবদ্ধ। আমাদের এই পার্টনারশিপ বা সম্মিলিত কাজ জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পাওয়াটা নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।
তিনি বলেন, বারার সকল কমবয়সী এবং তাদের পরিবারগুলোকে মহামারীর প্রভাব থেকে বের করে নিয়ে আসতে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।ডেপুটি মেয়র এবং কেবিনেট মেম্বার ফর চিলড্রেন, ইয়ূথ সার্ভিসেস এন্ড এডুকেশন, কাউন্সিলর আসমা বেগম বলেন, আমাদের কমিউনিটির দুর্বল ও অসহায় বাচ্চাদের সাহায্য করতে আমাদের পার্টনারদের সাথে মিলে যৌথভাবে কাজ করাটা সব সময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মহামারীর সময় এভাবে সম্মিলিতভাবে কাজ করাটার গুরুত্ব ছিলো অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি।তিনি বলেন, পরিবারগুলো যাতে তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ি বিভিন্ন ধরনের সহায়তামূলক সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে টাওয়ার হ্যামলেটস টুগেদার পৃথক পৃথক সার্ভিসগুলোকে একত্রিত করতে সাহায্য করেছে। আমাদের এই কাজ এইচএসজে পার্টনারশীপ অ্যাওয়ার্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করায় আমরা ভীষণভাবে আনন্দিত।টাওয়ার হ্যামলেটস টুগেদার এর চেয়ার এমি হোয়াইটলক গিবস বলেন, এটি একটি বিশেষ অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ, যা স্থানীয় জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব অসংখ্য সার্ভিসকে একত্রিত করেছে। আমাদের সকল পার্টনার বা অংশিদারদের কঠোর পরিশ্রম, পারস্পরিক আস্থা এবং উদ্ভাবনী আইডিয়ার স্বীকৃতি হচ্ছে এই এওয়ার্ড।