শিশুদের দত্তক নিতে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করতে নয়া প্রচারাভিযানে যোগ দিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

টাওয়ার হ্যামলেটসঃ বাচ্চাদের দত্তক বা এডপশন নিতে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করতে ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশনের সহযোগিতা সারা দেশে এডপশন এজেন্সিগুলোর একটি কোয়ালিশনে যোগ দিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।দত্তক বিষয়ক এজেন্সিগুলা সম্মিলিতভাবে হ্যাশট্যাগ ইউ ক্যান এডপ্ট (আপনিও দত্তক নিতে পারেন) শিরোনামে বিশেষ এক ক্যাম্পেইন বা প্রচরাভিযান শুরু করেছে।ইংল্যান্ডে, প্রায় ৩০০০ বাচ্চার দত্তক পরিবার দরকার এবং গত ৪ বছরে দত্তক নেওয়ার সংখ্যা প্রায় এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে দত্তক নিতে উদ্বুদ্ধ করতে নতুন প্রচারাভিযান #ইউক্যানএডপ্ট এর মাধ্যমে কারা দত্তক নিতে পারবেন এবং দত্তক নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা হবে।

এই বছরের শুরুর দিকে, নতুন একটি রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশিত হয় যে, লন্ডনের ৬৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই বাচ্চা দত্তক নেয়ার অথবা ভবিষ্যতে দত্তক নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তবে, এতদসত্বেও, ৪৮ শতাংশ লোকই দত্তক নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না। ২৯ শতাংশ এটা স্বীকার করেছেন যে তারা যে এডপ্ট বা দত্তক নেয়ার উপযুক্ত সেটাই জানেননা। আর ২৭ শতাংশ মনে করেন তারা দত্তক নিতে পারবেন না। জ্ঞানের এই স্বল্পতা বা ঘাটতিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে অধিকাংশ মানুষকে নিরুৎসাহিত করছে। এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনাটাই নতুন ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের শিশু ও স্কুল বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলর ড্যানি হ্যাসেল বলেন, “দত্তক নেয়ার ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য দত্তক পিতামাতার এডপশনের বিষয়ে আরো অধিক তথ্য জানাটা অনেক বাচ্চার ভবিষ্যত নির্ভর করছে। ভুল বোঝাবুঝি এবং পুরনো দিনের ধ্যান ধারনা বা দৃষ্টিভঙ্গি যেন একটি বাচ্চাকে ভালোবাসা পূর্ণ আশ্রয়ে প্রতিপালনের উদ্বুদ্ধ হতে কাউকে নিরুৎসাহিত না করে, আমরা সেটাই নিশ্চিত করতে চাই। কিছু কিছু লোক এটা ধরেই নেন যে, তাদের বয়স, যৌনতা বা বৈবাহিক অবস্থানের কারণে তারা হয়তো কোন শিশুকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু একদমই ঠিক নয়, অভিভাবক বা পিতামাতা হতে চায় এমন লোকদের জন্য দত্তক গ্রহণ একটি দুর্দান্ত পছন্দ।”

সবচেয়ে বড় ভুল ধারনাগুলোর মধ্যে রয়েছে য, সিঙ্গল বা একা বসবাসকারী লোক, বা বয়স্ক কেউ অথবা যারা এলজিবিটিকিউ, তাদেরকে বাচ্চা দত্তক গ্রহনের অনুমতি দেয়া হয় না। বিষয়টি মোটেই তা নয়। নতুন তথ্য থেকে জানা যায় যে, মতামত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৭ পার সেন্ট মনে করেন ৫০ উর্ধ বয়সীরা, ৪৯ শতাংশ মনে করেন একা বসবাসকারীরা এবং ৩৪ শতাংশের মতে এলজিবিটিকিউ+ (অর্থাৎ সমকামী বা উভকামী ইত্যাদি), লোকজন দত্তক গ্রহণে অযোগ্য হবেন কিংবা যোগ্য কিনা সেব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন।

#ইউক্যানএডপ্ট প্রচারাভিযানে আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্ভাব্য দত্তকগ্রহণকারী অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করা, কারণ এই সকল কমিউনিটির বাচ্চাদেরকে তাদের উপযুক্ত নতুন দত্তক পরিবার খুঁজে পেতে ঐতিহ্যগতভাবে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া একটু বেশি বয়সী বাচ্চাদেরকে, কিংবা ভাইবোনদের একসাথে এবং যাদের জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা বা ডিজেবিলিটি রয়েছে তাদেরকে দত্তক নিতেও উৎসাহিত করা এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।

বিভিন্ন ধরনের পরিবারগুলো, যারা বাচ্চাদের দত্তক নিতে চায় বা নিতে পারে, তাদের ওপর আলো ফেলতে নতুন একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে।টিভি ভোকাল কোচ দম্পতি ক্যারি এবং ডেবিড গ্র্যান্ট সহ কয়েকটি পরিবার এই ফিল্মে অংশ নিয়ে দত্তক নেয়ার জন্য অন্যদের অনুপ্রাণিত করেছেন।এডপশন বা দত্তক গ্রহণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে www.youcanadopt.co.uk এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

You might also like