শীতেও সিলেটে যে কারণে লোডশেডিং
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটেসহ সারা দেশে শীতের মৌসুমে সাধারণত বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকেই না বললে চলে। কিন্তু এবারের শীত ব্যতিক্রম। গত দু’দিন থেকে সিলেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসের কাজে বিঘœ ঘটছে। রামপালসহ দেশের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ৯ জানুয়ারি সোমবার থেকে সিলেটে এ লোডশেডিং চলছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট সূত্র মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানায়, কারিগরি ত্রুটির কারণে বাগেরহাটের রামপাল ও ভোলার নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে সোমবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে ২২ ডিসেম্বর থেকে ‘মাইনর মেইনটেন্যান্স’ কাজের জন্য পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ আছে। এছাড়া ৭ জানুয়ারি থেকে ভেড়ামারা কেন্দ্র সংরক্ষণ কাজের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে জাতীয় গ্রিডে প্রায় ১ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট বিভাগে পল্লী বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মিলিয়ে মোট গ্রাহক আছে প্রায় ২২ লাখ। বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৩ শ’ মেগাওয়াট। এরমধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ আছে অর্ধেক। অন্যদিকে জেলার প্রায় ১১ লাখ গ্রাহকের চাহিদা আছে ১১০-১২০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সরবরাহ অর্ধেকের চাইতেও কম। জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ কম থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। রামপালসহ দেশের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় এমনটি হচ্ছে। বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলো ফের চালু হলে লোডশেডিং কমে আসবে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে বলে জানান তিনি।