‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও কৌশলগত সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে’

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ বীর শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২২’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে।

এ উপলক্ষে সোমবার লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল মূল্যবোধ ভিত্তিবাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও কৌশলগত সম্পর্ক গত এক দশকে আরো সুদৃঢ় হয়েছে। একই সাথে দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন সহায়তাকেন্দ্রিক থেকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে।”

হাইকমিশনার বলেন, “১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম ক্যাডেট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। শহিদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ছিলেন এই ক্যাডেট প্রশিক্ষণে অন্যতম অংশগ্রহণকারী

হাইকমিশনার ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নসহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সাথে বহুমাত্রিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ বছরের শুরুতে দুদেশের মধ্যে প্রথম প্রতিরক্ষা সংলাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  শীর্ঘই দ্বিতীয়প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হবে

বাংলাদেশের  মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের উন্ননয়, অগ্রগতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।”

লন্ডন হাই কমিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মঈন খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার প্রধান পৃষ্টপোষক লর্ড রামি রেঞ্জার ও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উপ-প্রধান অ্যামি সিনিয়র।

অনুষ্টানের শুরুতে ব্রিটেনের মহামহীম রাণী ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিষ্ঠা ও দেশে-বিদেশে এর বিশেষ ভূমিকা ওপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকবৃন্দ, কূটনৈতিক ফোরামের সদস্য, বিভন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশি-বৃটিশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

You might also like