শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষ্যে বরিশালে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

বরিশাল: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরিশাল আগমন উপলক্ষ্যে মহানগরীর বাসিন্দারা উৎসবে মেতে ওঠেছিল।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রধানের আগমনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়াামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উল্লাসে মেতে উঠেছিল।
বিভাগীয় সদরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।এই জনসভাকে কেন্দ্র করে বরিশাল উচ্ছ্বাসের জনপদে পরিণত হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো নগরীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।শেখ হাসিনার আগমনে শুধু বরিশালে নয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরো অঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছাস সৃষ্টি হয়েছে।বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগদানের কথা থাকলেও সকাল থেকেই লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বসার জায়গা নিশ্চিত করতে অনেককেই রাতে মাঠে অবস্থান নিতে দেখা যায়। জনতা আশপাশের এলাকা, রাস্তাঘাট ও ফাঁকা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, অর্থাৎ নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের আগেই শহরটি মানবসমুদ্রে পরিণত হয়।এর আগে সকাল থেকেই ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্øোগানে এবং রঙিন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে, রঙিন টি-শার্ট, মাথায় ক্যাপ, ব্যান্ড, শ্লোগানে মিছিলে জনসাধারণ, নারী ও সমর্থকদের অনুষ্ঠানস্থলের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। তাদের হাতে ছিল ঢোল, নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা।মহিলারা বড় ও ছোট দলের পাশাপাশি পৃথকভাবে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের জন্য হাসিমুখে গেটে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছিলেন।নৌকা, রিজার্ভ বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল নিয়ে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ওপার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন এবং অনেককে পায়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়।এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি জনসভায় যোগ দিতে সকাল ৯টায় ঢাকার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সড়কপথে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।বরিশাল থেকে পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া যাবেন। শনিবার তিনি টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার জনসভায় ভাষণ দেবেন এবং তারপর ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কালকিনিতে আরেকটি সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরাণ (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে করে সিলেট-১ আসন থেকে তার দলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।গত ২৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের তেজগাঁও কার্যালয় থেকে জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলায় ছয়টি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন।তিনি ২৬ ডিসেম্বর রংপুর সফর করেন এবং তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।তিনি গত ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার জেলা স্টেডিয়াম এবং রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম ছাড়াও বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।২১ ডিসেম্বর, তিনি তেজগাঁও আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা এবং খাগড়াছড়ি – জেলায় নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, আগামী ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে দলীয় প্রধানের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করার কথা রয়েছে।

You might also like