শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক এখন আকর্ষণীয় জনপদ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক এখন পর্যটন সমৃদ্ধ এক জনপদ।এখানে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়াতে আসেন।অনেক পর্যটক রিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক আর জিপগাড়ি নিয়ে এই সড়কে যাতায়াত করে থাকেন।খোলামেলা পরিবেশে এখানে সবুজ গাছগাছালি, চা বাগান, উচু-নিচু টিলা, পাহাড় আর বন্যপ্রাণীদের শব্দতো আছেই।এগুলো দেখতে আর শুনতে পাওয়া যায়।শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদদাতা জানান, শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনী। শুরুতেই রয়েছে বধ্যভূমি, তারপর একটু এগুলেই দু-ধারে সবুজ চা বাগান। চাইলে ছবি তুলতে পারেন। এরপর ৫ তারকা হোটেল। এসব দেখে দেখে কমলগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে প্রবেশ করবেন।উপজেলা প্রশাসন রাস্তার দু’ধারে স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণ করেছে।তারপর শুরু হবে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে আপনি চলে আসবেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। এই উদ্যানে সবসময়ই ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের দেখতে পাবেন।একটু খেয়াল করলে শুনতে পারবেন পশু-পাখিদের ডাক।এটি আপনাকে বাড়তি আনন্দ যোগাবে।
সেখান থেকে আবারও আঁকাবাঁকা পথ অতিক্রম করে মাগুরছড়া চলে আসবেন। ওখানে ১৯৯৭ সাথে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছিল।বর্তমানে চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। পাশেই সিলেট-ঢাকা রেল লাইন।রয়েছে মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি। চাইলে আপনি অনুমতি নিয়ে পুঞ্জিও দেখতে পারবেন। জানতে পারবেন খাসিয়াদের জীবনপ্রণালী সম্পর্কে।এরপর আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে চলে আসবেন ফুলবাড়ি চা বাগান।সেখানে একটি ছোট ঘর রয়েছে। একটু ক্লান্তি মনে করলে বিশ্রাম নিতে পারবেন।তারপর কিছু জায়গা আসার পর ‘হীড বাংলাদেশ’ এর কার্যালয়। হীড বাংলাদেশে যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা হয়। পাশাপাশি রয়েছে রেষ্টহাউস।এখানেও রাত্রিযাপন করা যায়। নান্দনিক পরিবেশে আপনাকে বাড়তি আনন্দ যোগাবে।সেখান থেকে কমলগঞ্জ পৌরসভা পাড়ি দিয়ে ভানুগাছবাজার।বাজার থেকে ধলাই নদী অতিক্রম করেই কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনী, উপজেলা পরিষদ,মৌলভীবাজার সড়ক, আদমপুর-কুরমা সড়ক, শমশেরনগর সড়ক। এছাড়া সন্ধ্যার পর এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে মনটা আনন্দে ভরে যাবে। সড়কের দূ’পাশ ও মধ্যে বাতি দেয়া হয়েছে।যখন গাড়ির আলো জ্বলবে তখন বাতিগুলোও জ্বলে উঠবে। সব কিছু মিলে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক ও এলাকা পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় পথ। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন।