শ্রীলঙ্কাকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
সত্যবাণী

বাংলাদেশ,ফুটবলঃ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১ পয়েন্ট।তবে ড্র নয়, পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। আগামী ২২ ডিসেম্বর শিরোপার জন্য ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।ঢাকার কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আক্তার রিপার হ্যাটট্রিকের সুবাদে শ্রীলঙ্কাকে ১২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। মেয়েদের পারফরম্যান্সে খুব খুশি কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ। সমান ম্যাচে ভারত ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। নেপাল ৭, ভুটান ৩ ও শ্রীলঙ্কা কোনও পয়েন্ট না পেয়েই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে।

ম্যাচের পুরো সময় শ্রীলঙ্কার অর্ধে খেলা হয়েছে।একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন আনা বাংলাদেশের দাপট চলেছে শেষ পর্যন্ত।২২ দিনের অনুশীলন করে ঢাকায় আসা লঙ্কানদের সামনে পেয়ে গোলবন্যায় ভাসিয়েছেন আনুচিং-ঋতুপর্ণারা।প্রথমার্ধে চার গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটে আনুচিং মোগিনি গোলের সূচনা করেন। ৭ মিনিটে ঋতুপর্ণা বাঁ-পায়ের কোনাকুনি শটে ব্যবধান ২-০ হয়। ১৬ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে শাহেদা আক্তার দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন। বিরতির তিন মিনিট আগে ঋতুপর্ণা বাঁ-পায়ের অসাধারণ আলতো চিপে গোলকিপারের ওপর দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে।

বিরতির পর বাংলাদেশ ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে লঙ্কান শিবির।এই অর্ধে হয়েছে আরও ৮টি গোল। ৪৭ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে আঁখি খাতুনের নেওয়া শট গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে জড়িয়ে যায় জালে। ৪৯ মিনিটে সাজেদা আক্তার রিপা লক্ষ্যভেদ করেন। ৫৪ মিনিটে আফিদা খন্দকার দূরপাল্লার শটে সপ্তম গোল করে সমর্থকদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেন।৭০ মিনিটে আফিদা অষ্টম গোল করেন। ৭৭ মিনিটে আনুচিং মোগিনি নবম গোল করে দলকে বড় ব্যবধানে জিততে সহায়তা করেন। তখনও বাংলাদেশের গোলক্ষুধা মেটেনি। ৮৩ মিনিটে আফিদা খন্দকার হ্যাটট্রিক করে বসেন। এর দুই মিনিট পর উন্নতি খাতুন দলের হয়ে ১১তম গোল করে বড় জয়ে ভূমিকা রাখেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে শাহেদা আক্তার রিপা জালে বল জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।ফাইনালের আগে এমন বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস জোগাবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

You might also like