সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে দক্ষিন খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়মীলীগ নেতা আব্দুল মছব্বির ভূয়া মোতাওয়াল্লী সেজে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মায়েরকুল জামে মসজিদের নামের ওকফকৃত ২.৪০ জায়গা আতœসাত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূমি খেকো আব্দুল মছব্বির। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাতক থানার এসআই মহিন উদ্দিন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আব্দুল মছব্বিরের অভিযোগ গত ৫ এপ্রিল তার (আব্দুল মছব্বির) এর বাড়ীতে গিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করেন সাংবাদিক শামীম তালুকদার। চাঁদা না দেওয়ায় আব্দুল মছব্বিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।সাংবাদিক শামীম আহমদ তালুকদার বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগ ও যথাযথ তথ্য উপাথ্যের ভিত্তিতে গত ১৪ এপ্রিল সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে আব্দুল মছব্বির এর মুঠোফোনে কল করে তার বক্তব্য নিয়েছি। ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড এর কথোপকথন অত্যন্ত স্পষ্ট যে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় আত্মরক্ষার্থে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া চাঁদাদাবীর নাটক সাজিয়েছেন। এছাড়াও প্রকাশিত সংবাদে তার বক্তব্য সংযুক্ত করা হলেও তিনি বিভিন্ন ভূয়া পেইজে অপপ্রচার করেছেন বক্তব্য নেওয়া হয়নি।
মায়েরকুল জামে মসজিদের নামের ওকফকৃত জায়গা আতœসাত করার অভিযোগ জাতীয় দৈনিকসহ একাধিক গণ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ভূমি খেকো আব্দুল মছব্বির তার নিজ নামীয় ফেইসবুক আউডিসহ, ছাতক প্রতিদিন ও ছাতক টিভি নামে ফেইসবুক পেইজ থেকে সাংবাদিক শামীম আহমদ তালুকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। যা অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বটে। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল নতুন আলো নিউজ ২৪ নামে একটি ওয়েব পোর্টালে কথিত সাংবাদিক পরিচয়দারী গ্রামীন ফোন এর সিম বিক্রেতা উজজীবক সুজন তালুকদার মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া অপপ্রচার করেন। ক্যাপশনে সাংবাদিককে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে এই সংবাদটি ভূমি খেকো আব্দুল মছব্বির নামীয় ফেইসবুক আউডিতে সেয়ার করা হয়।এ বিষয়ে সাংবাদিক শামীম আহমদ তালুকদার বলেন, ইতোমধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে সকল ডকুমেন্টস দেওয়া হয়েছে।সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। এ বিষয়ে ছাতক থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, জিডি আকারে একটি লিখিত হাতে পেয়েছি।