সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত সৈয়দ আবুল মকসুদ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বিশিষ্ট লেখক,গবেষক,সাংবাদিক, কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়।সেখানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে তাকে আচ্ছাদিত করেন। তারপর থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু করেন সর্বস্তরের মানুষ।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন,সৈয়দ আবুল মকসুদ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লেখা বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। তিনি বাঙালির হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য সত্যিই বেদনাদায়ক।আমরা তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।বাংলা একাডেমির সচিব হাসনাত লোকমান শোকবাণীতে লেখেন,মানবিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র, অহিংস অনড় অন্তরের অধিকারী, বাংলা সাহিত্যে তার অনবদ্য অবদান প্রদীপ্তমান বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির গগণে। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি, প্রকাশ করি সমবেদনা তার পরিবার-পরিজনের প্রতি।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, আবুল মকসুদের পুরো জীবনটা ছিল প্রতিবাদের।তিনি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছিলেন। তিনি লেখক, সাংবাদিক,

গবেষকের বাইরে গিয়ে একজন কর্মী হয়ে রাজপথে আন্দোলন করে গেছেন।সৈয়দ আবুল মকসুদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সিপিবি, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টি, ক্ষেত মজুর সমিতি, ভাসানী পরিষদ, ঐক্য ন্যাপ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাসদ, ছাত্র ফেডারেশন, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের মানুষ।শহীদ মিনার থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

You might also like