সাদা পাথর লুট চলছেই, পাথর ভাঙার মিল বন্ধ করলেন ইউএনও
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাথর লুটের ঘটনার সংবাদ প্রকাশের পর পাথর ভাঙার দু’টি ক্রাশার মিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। মিলের পাথরসহ যাবতীয় যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে।সোমবার সন্ধ্যার দিকে কলাবাড়ি গ্রামে মেসার্স মাহবুব এন্টারপ্রাইজ এবং ভাই ভাই স্টোন ক্রাশারে অভিযান চালান ইউএনও লুসিকান্ত হাজং। এ সময় পর্যটন স্পটের পাথর লুট করে মিলে রাখার দায়ে মিল দু’টি বন্ধ করে দেন।এ বিষয়ে ইউএনও জানান, পর্যটন স্পটের পাথর লুটে জড়িত থাকায় এবং লুট করা পাথর মিলে রাখায় এই দ’ুটি মিলের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাথর লুটে জড়িতদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।এদিকে, ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন স্পটের পাথর লুট চলছেই। ভোলাগঞ্জ গ্রামের একটি সূত্র জানায়, গত শনিবারের পর রোববার রাতেও পঞ্চাশের অধিক নৌকা বোঝাই করে পাথর লুট করা হয়েছে। পাথরগুলো ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রামসহ ধলাই নদীর তীরে স্থাপিত কয়েকটি ভাইব্রেটরে (ওয়াশিং মেশিন) বিক্রি করা হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, উপজেলা প্রশাসনের অভিযান এড়াতে চোর চক্রটি আপাতত বোল্ডার বা সাইজে বড় পাথর চুরি করছে না। কৌশল পাল্টে গত কয়েকদিন ধরে ছোট সাইজের পাথর চুরি করা হচ্ছে। পরে ভাইব্রেটরের সাহায্যে পাথরগুলো সিঙ্গেল এবং চিপস পাথরে রূপান্তর করা হয়।এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতিটি ভাইব্রেটর থেকে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা এবং পাথর লুটে ব্যবহৃত প্রতিটি নৌকা থেকে ওসির নামে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। স্থানীয় পাড়ুয়া গ্রামের এক যুবককে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় চলছে এই অপকর্ম।কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, চাঁদাবাজির সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রসঙ্গত, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ টহলের মধ্যেও সাদা পাথর পর্যটন স্পটের পাথর লুট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সোমবার স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওইদিন বিকেলেই অভিযানে নামেন ইউএনও।