সাব-রেজিস্টারদের কর্মঘন্টার পূর্ণসময় দায়িত্ব পালনে জেলা রেজিস্টারের নির্দেশনা চাই : বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

সিলেট: সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলা সাব-রেজিস্টারি অফিসে কর্মরত ১৩ জন সাব-রেজিস্টার যাতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মদিবসের পূর্ণসময় দায়িত্ব পালন করেন, সে মর্মে জেলা রেজিস্টারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা চেয়েছেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি, সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। গত (২২ জানুয়ারি) শনিবার দুপুরে জেলা রেজিস্টার কার্যালয় প্রাঙ্গনে দলিল লেখক শেড-এর ২নং হলে অনুষ্ঠিত সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সভার প্রস্তাবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারের আইন মন্ত্রণালয় থেকে সাব-রেজিস্টারদের সপ্তাহের ৫ কর্মদিবসের প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে মধ্যাহ্ন বিরতি সহকারে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কার্যতঃ লক্ষ্য করা গেছে যে, শুধুমাত্র সদর সাব-রেজিস্টার অফিস ছাড়া বাকি সাব-রেজিস্টারগণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন না। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরকারি নির্দেশনা পালনে উদাসীনতাই পরিলক্ষিত হয়। এর পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনে দলিল লেখকরাও নানাভাবে বিভ্রান্ত, হয়রানি ও ক্ষতির শিকার হন। ভূমি রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাশী দাতা-গ্রহিতাদের নিকটও দলিল লেখকদের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলে। যা কোনভাবেই কারো কাম্য হতে পারে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অদ্যকার সাধারণ সভার প্রস্তাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা রেজিস্টারের যথাযথ নির্দেশনা ও বলিষ্ট পদক্ষেপ কামনা করা হয়।
প্রস্তাবে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দলিল লেখকদেরও সপ্তাহের প্রতিটি কর্মদিবসের পূর্ণ কর্মঘন্টা সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে অবস্থান করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানানো হয়।

সভার অপর এক প্রস্তাবে সিলেটের জেলা রেজিস্টারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র সিলেট জেলার ১৩টি অফিসে ১৩জন স্থায়ী সাব-রেজিস্টার দায়িত্ব পালন করতে মন্ত্রণালয় নিয়োগ প্রদান করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সভায় সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ পর্যায়ে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা কমিটির শূণ্য অর্থ সম্পাদক পদে আকবর আলীকে কো-অপ্ট করা হয়।সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হাজী মোঃ ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় শুরুতে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করা হয়। রিপোর্টের উপর আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম খান শায়েক, কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আইনুল মিয়া, জেলা শাখার অন্যতম নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন, আজিজুর রহমান লাল মিয়া, কলন্দর আলী, হাজী মাহমুদ আলী, রাশেদুজ্জামান রাশেদ, হানিফ খন্দকার, কামাল উদ্দিন, জাকারিয়া রাব্বানী, আখতার হোসেন, আখলাকুল আম্বিয়া, আব্দুল কাদির সেলিম, আবু আহমেদ চৌধুরী, শেখ লোকমান মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, সেলিম আহমদ, গোলাম ফারুক, নাসির উদ্দিন, আব্দুন নূর, শাহাব উদ্দিন, শাহীন আহমদ, শাহ এমদাদুল হক রাজন, ছায়েদুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন মান্না, মিজানুর রহমান, আবুল হোসেন, মনসুর আহমদ, মনোয়ার হোসেন, কামরুল তালুকদার প্রমুখ। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাহবুবুল হক মুকুল।

শোক প্রস্তাবে বিগত সময়ে সমিতির জেলা শাখার সাবেক অর্থ সম্পাদক আব্দুল খালিক ছুবা মিয়া, অর্থ সম্পাদক এম এ রহিম, তাজপুর শাখার প্রবীণ সদস্য মাশুক আলী মীর, বিয়ানীবাজার সভাপতি আব্দুল আহাদ, ঢাকাদক্ষিণ শাখার সভাপতি আব্দুল হান্নান, সদর শাখার সদস্য আব্দুল মতিন, ফয়ছল আহমদ, সাব্বির আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করা হয়। মরহুমদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

You might also like