সামাজিক সমস্যা নিরসনে ইমামদের ভূমিকা অসামান্য-ইফা মহাপরিচালক

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম বলেছেন, সামাজিক সমস্যা নিরসনে ইমামরা অসামান্য ভূমিকা রাখছেন। তারা দ্বীনি কর্মকান্ডে নেতৃত্বদানের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নেও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি বলেন, সরকার ইমামদের ওপর খুবই আস্থাশীল। সেই আস্থার জায়গা থেকেই সরকার সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইমামদের সহযোগিতা চায়। সরকার মনে করে ইমামরা বললেই একদিনে কমপক্ষে ৬ কোটি মানুষের কাছে যেকোনো বার্তাটি পৌছে যায়।
১৮ নভেম্বর শনিবার বিকেলে সিলেটের ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, মাদক, মানবপাচার প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা নিরসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফা মহাপরিচালক আরও বলেন, সারাদেশে ৭৪ হাজার মসজিদে গণশিক্ষা কেন্দ্র চালু রয়েছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী দেশে সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার খুবই আন্তরিকতার সাথে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান ও বিভাগীয় তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন।
স্বাগত বক্তব্যে মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক সমস্যা নিরসনে কাজ করার পাশাপাশি ইমামরা হাওর অঞ্চলের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র রক্ষায় কাজ করে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন। তিনি ইমামদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। সরকারের ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ব্যাংকে রূপান্তর, দেশের সব মসজিদে গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু করা এবং সরকারের মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালাকে আইনে পরিণত করার দাবি জানান।
সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় কর্মরত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।

You might also like