সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে নবরূপে তুলে ধরতে চান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম

নিজস্ব প্রতিনিধি
সত্যবাণী

ঢাকাঃ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম নিজ মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করে দিতে চান। তিনি আবাসন ও ই-কমার্স নিয়ে কাজ করেন। পরিবেশবান্ধব নানা নির্মাণসামগ্রী উদ্ভাবনে কাজ করছেন তিনি। এতে করে পরিবেশের সুরক্ষা হবে এবং আমাদের কৃষিজমির উপরিভাগ তথা টপ সয়েল রক্ষা পাবে।প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনায় প্রথম স্থান অর্জন করে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ১১টি অধিদপ্তর ও সংস্থাসমূহের মধ্যে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার সার্বিক মূল্যায়নে (৫০ নম্বরের ভিত্তিতে) ১১টি দপ্তর সংস্থার মধ্যে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ৪৬ দশমিক ৮০ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে।

১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি উত্তরের প্রবেশদ্বার বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আশরাফুল আলম। শিক্ষাজীবনে তিনি করপুর বাই-ল্যাটারাল উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে মেধাতালিকায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হিসেবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি লাভ করেন। এ ছাড়া ২০০৯ সালে তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৫তম বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারের মেধা তালিকায় প্রথম হিসেবে ১৯৯৫ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন।

তিনি ১৯৯৮ সালে সালে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, ২০০৭ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী, ২০১৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং ২০১৮ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি লাভ করেন। এরপর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন এবং ২০২০ সালে ডিসেম্বরে থেকে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।দীর্ঘ কর্মজীবনে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি চাকরি ক্ষেত্রে অনেক সুনাম অর্জন করেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।আশরাফুল আলম বলেন, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট গবেষণার পাশাপাশি উদ্ভাবিত নির্মাণ উপকরণ/প্রযুক্তি বিপণন ও সম্প্রসারণ, ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে গৃহায়ন ও নির্মাণবিষয়ক পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। নির্মাণ শিল্পের মান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে এইচবিআরআই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব ও টেকসই আবাসন নির্মাণ কার্যক্রমেও এই প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে দেশজ নির্মাণ উপকরণ ও সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৩ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তী সময়ে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট নামে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করে।

You might also like