সার্চ কমিটির বিধান রেখে ইসি গঠন আইন সংসদে উপস্থাপন

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ রাষ্ট্রপতি গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের বিধান রেখে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে এই বিলটি উত্থাপন করেন।এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।খসড়ায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে।সিইসি ও ইসি নিয়োগে যোগ্যতা হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স কমপক্ষে ৫০ বছর হতে হবে। একই সঙ্গে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য ছয়টি অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- যদি আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষিত হন, দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেয়ে থাকেন, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নেন বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেন, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূনতম দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট-১৯৭৩ বা বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনালস) অর্ডার-১৯৭২ এর অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হয়ে থাকেন কিংবা আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্মে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।এ বিষয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত ইসি গ্রহণযোগ্য হবে না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই।

এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইসি নিয়োগে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ আরেক ‘তামাশা’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের অভিযোগ, এ আইন প্রণয়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হয়নি।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আইনটি পাসের আগে সব অংশীজনের মতামত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে মর্মে আশা করা যায়।উল্লেখ্য, কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এই সময়ের আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।

You might also like