সিআরবিতে বাণিজ্যিক হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তে ২৫ ব্যক্তির যৌথ প্রতিবাদ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগরীর ফুসফুস বলে জনশ্রুত সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) ধ্বংসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনসহ বিশিষ্টজনদের প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। প্রায় পৌনে দুশ বছরের এই নান্দনিক স্থাপনা ও সবুজ বৃক্ষরাজিসহ প্রাণ-বৈচিত্র্য ধ্বংস করে সেখানে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনের ২৫ জন যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
আজ বুধবার ‘সিআরবি রক্ষা আন্দোলন- ঢাকা’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, গবেষক ও শ্রমিক নেতা এই যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে সিআরবিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ও ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সূতিকাগার উল্লেখ করে বলা হয়, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে এই ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস করা হবে আত্মহত্যার সামিল। এটি শুধু চট্টগ্রামেরই ঐতিহ্য, ঐশ্বর্য আর সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র নয়, এটি বাংলাদেশের অনন্য সম্পদ।বিবৃতিতে অবিলম্বে এই পরিবেশবিনাশী ও অপরিণামদর্শী পরিকল্পনা বাতিল করে সকল মহলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বিকল্প কোনো স্থানে হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন- রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম,নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া,গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে,উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল,কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন,বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব মিহির বিশ্বাস,সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড এনভায়রণমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, গ্রীণ বেল্ট ট্রাস্টের পরিচালক জসিম কাতাবী, এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক আল ইমরান,পিস মহাসচিব ইফমা হুসেইন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশের নির্বাহী প্রধান মাধব চন্দ্র দত্ত,নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, পরিবেশ রক্ষা এখনই’র সমন্বয়ক রায়হানুল ইসলাম, পুরনো ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক মো. নাজিম উদ্দিন, নদী বাঁচাও জোটের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, রীচ টু আনরীচের (রান) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুবুল হক, পিএইচএম বাংলাদেশের নির্বাহী মাহবুব আক্তার, পেভ বাংলাদেশের পরিচালক কে জি এমন ফারুক, সন্দ্বীপ নদী শিকস্তী পুনর্বাসন সমিতির সংগঠক মমিনুল হুদা বাবন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়ীদ ইকবাল খান, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুক্তি শিখার সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আরিফ।