সিলেটের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে কর্তৃপক্ষ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটে যখন প্রায় প্রতি ঘন্টায় হচ্ছে লোডশেডিং, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম ভোগান্তিতে আছেন সিলেটের মানুষ। ঠিক তখন মিললো একটি স্বস্তির সংবাদ। কয়লা সংকটে ২০ দিন বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।২৫ জুন রোববার বিকেল ৪টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করা হয়। উৎপাদনের পর ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ফের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলে সিলেটে লোডশেডিং একবারে কমে যাবে।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির জানান, নির্বাচনকালীন সময় বিবেচনা করে এতোদিন সিলেটে লোডশেডিং কম ছিল। সিলেটে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬৬০ মেগাওয়াটের মত, তবে আমরা পাচ্ছি ৫০০ মেগাওয়াটেরও কম। যার কারণে লোডশেডিং করা হচ্ছে। রোববার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হয়েছে। তবে জাতীয় গ্রিডে এই বিদ্যুৎ এখনো যুক্ত হয়নি। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলো সিলেটে লোডশেডিং একেবারে কমে যাবে।

উল্লেখ্য, ডলার সংকটে কয়লা আমদানি সম্ভব না হওয়ায় ২৫মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ৫জুন বন্ধ হয় দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পর সিলেটে বেড়েছে লোডশেডিং। নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলারের এলসি (আমদানি ঋণপত্র) খোলা হয়। ২৩ জুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশ জলসীমায় নোঙর করে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি অ্যাথেনা।

You might also like