সিলেটে কমেছে পেঁয়াজের দাম
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার পরপরই আরেক দফা অস্থির হয়ে উঠে সিলেটে পেঁয়াজের বাজার। খবর পেয়েই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। ৪০/৪৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ৬০ টাকায়। তবে মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। সিলেটের পাইকারি বাজারে ২২ আগস্ট মঙ্গলবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা দামে। অথচ বাস্তবতা হলো, নতুন দামের পেঁয়াজ কিন্তু এখনো বাজারে আসেনি। শুধু তাই নয়, ভারতের শুল্ক আরোপের খবরে বেড়েছে দেশীয় পেঁয়াজের দামও।
ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ রফতানির ওপর ভারত ২ দিন আগে শুল্ক আরোপ করেছে শুনেছি। কিন্তু সেই পেঁয়াজ তো এখনও বাজারে আসেনি। অথচ দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা সিন্ডিকেটের কাজ। সরকারের উচিত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে মূল্য বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট কাটছে। আমরা সবদিকে অসহায়। পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। ২ দিনের ব্যবধানে কেজিতে এত টাকা বাড়ে কিভাবে? কালীঘাট এলাকার জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় ফলন নষ্ট হওয়ায় এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে চলতি মাসের শুরুর দিকে রফতানি মূল্যবৃদ্ধি করে সেখানকার পেঁয়াজ সরবরাহকারীরা। এখন আবার রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণায় দেশীয় সিন্ডিকেট রাতারাতি বাড়িয়ে দিয়েছে পেঁয়াজের দাম। সেই পেঁয়াজ এখনও বাজারে আসেনি। একদল অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে তা ২ দিন আগ পর্যন্ত ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। তবে মঙ্গলবার দাম কিছুটা কমেছে। ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। আশা করছি সরকারের হস্তক্ষেপে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে।