সিলেটে পানি কমলেও বেড়েছে দূর্ভোগ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সুরমা, কুশিয়ারা, ধোলাই, পিয়াইনসহ নদ-নদীর পানি আগের থেকে অনেকটাই কমে গেছে। তবে এসব এলাকায় পানি কমলেও জনসাধারণের দুর্ভোগ বেড়ে চলছে।শনিবার (২১ মে) সরেজমিনে সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, যেসব এলাকা, বাসাবাড়ি বা দোকানপাটে পানি প্রবেশ করেছিল, তা ধোয়ামোছা করছেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ। তবে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সবাইকে বেগ পেতে হচ্ছে।ঘরে জমে থাকা পানি সেচে ধোয়ামোছা করতে দেখা যায় নগরীর লালাদিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা পলি বেগমকে। তিনি জানান, গতকাল রাতেই তার ঘর থেকে পানি নেমে গেছে। তারপরও ঘরে প্রচুর পানি আটকে আছে। এসব পানি আজ সকাল থেকে সেচে বের করছেন। তারপর ঘর পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক স্প্রে প্রয়োগ করবেন বলে জানান।

নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়ের জানান, ৪দিন ধরে উপশহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। এদিকে বাসার রিজার্ভ ট্যাংকের পানি প্রায় শেষপর্যায়ে। বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এসব এলাকায় কবে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে, তা তিনি জানেন না। ফলে কখন বাসার পানির সমস্যা দূর হবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। অবশ্য গতকাল শনিবার থেকে উপ-শহরের কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা চালু করা হয়েছে।সিলেট নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের কলাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ঘরে যখন পানি প্রবেশ করেছিল, তখন গ্যাসের লাইনে পানি ঢুকে যাওয়ায় গ্যাস-সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পুরোপুরি পানি না কমলে এই গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে না বলেও জানান তিনি।এদিকে বন্যার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের দুর্ভোগ ও অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও আশার বাণী শুনিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অফিস।আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, দিন দিন আবহাওয়া উন্নতি করছে। তিন-চার দিন আগেও যেখানে কয়েক শ’ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় এর পরিমাণ ছিল মাত্র ১২ মিলিলিটার।তিনি আরও বলেন, আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ মের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ একেবারেই কমে আসবে। বন্যা পরিস্থিতিরও আরও উন্নতি হবে।

You might also like