সিলেটে বিএনপি’র কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ সাবেক মেয়র আরিফ
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সিলেটে বিএনপি’র কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সদ্যসাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ক্ষোভ ঝেড়েছেন সিনিয়র নেতাদের উপর। তবে, তার এই ক্ষোভ প্রশমিত করতে বিএনপি নেতারা তাঁকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সঙ্গে দলের সিলেট শাখার কর্তৃত্ব নিয়ে মানসিক লড়াই চলছে সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর। চলমান আন্দোলনে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে সিলেটের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তবে আরিফুল হক চৌধুরী মাঝে মধ্যে কর্মসূচি পালনে সক্রিয় হয়ে উঠেন। হরতাল-অবরোধ চলাকালে কয়েক দিন তিনি ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়েছেন।
মানবাধিকার দিবসে কর্মসূচি পালনে ১০ ডিসেম্বর রোববার সিলেট বিএনপি’র কর্মসূচিতে সিনিয়র নেতা হিসেবে অংশ নেন আরিফুল হক চৌধুরী। এ কর্মসূচিতে ৪২ দিন পর এসে শরীক হন জেলা সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী। প্রথমে সুরমা মার্কেট পয়েন্ট এবং পরে কোর্টের ভেতরে নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও সভা করেন। দু’টোতে আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। কিন্তু বিকেলে বিএনপি’র পক্ষ থেকে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়; সেখানে উপস্থিতির তালিকায় প্রথম নাম দেয়া হয়েছে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের। এরপর দেয়া হয় আরিফুল হক চৌধুরীর নাম।
সন্ধ্যায় জেলা বিএনপি’র এই নাটকীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানার পর ক্ষুব্ধ হন আরিফুল হক চৌধুরী। খন্দকার মুক্তাদির কোথায় ছিলেন? এ প্রশ্নের উত্তর চেয়ে তিনি জেলা বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের কাছে ফোনও করেন। কিন্তু এতে কেউ-ই তাঁকে সদুত্তর দিতে পারেননি।
তবে জেলা বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন, খন্দকার মুক্তাদির ও কাইয়ূম চৌধুরী সিলেটের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এক সঙ্গেই এসেছিলেন। পুলিশী ব্যারিকেড থাকায় খন্দকার মুক্তাদির আদালতের ভেতরের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি। যেহেতু তিনি এসেছিলেন; এ কারণে উপস্থিতির তালিকায় তার নাম দেয়া হয়েছে। এটা দোষের কিছু না।