সিলেটে সচেতনতামূলক কর্মশালায় পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন মাত্রাতিরিক্ত শব্দ ৩০ ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুস্থ ও সভ্য সমাজ গঠনে অপ্রয়োজনীয় হর্ণ বাজানো এবং শব্দদূষণ বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সিলেটে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় পেশাজীবী, পরিবহন চালক-শ্রমিক, শিক্ষার্থী এবং ইমামদের সাথে এক সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশের গাড়িতে কোন ধরণের হর্ণ ব্যবহার করা হয় না। আমরা যানবাহন পরিচালনাকালে অপ্রয়োজনে হর্ণ বাজাই। বর্তমান সরকার শব্দদূষণ সম্পর্কে সচেতন করার মাধ্যম বিদ্যমান শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ যুগোপযোগী করার জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মানসিক ক্লান্তি ও অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্নায়ুবিক সমস্যা, অমনোযোগিতা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং বধিরতাসহ প্রায় ৩০ ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে। শব্দদূষণের কারণে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়তে পারে শিশু। এজন্য হাইড্রোলিক হর্ণের ব্যবহার বন্ধসহ সব ক্ষেত্রে অযথা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, নির্মাণকাজে নিয়ম মেনে ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে শব্দদূষণ কমে আসবে। শব্দদূষণের সব উৎস আমরা সম্মিলিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সব যানবাহনকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। পথচারীরা নিয়ম মেনে রাস্তা পারাপার হলে হর্ণ বাজানোর প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন পরিবেশমন্ত্রী।সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট নগর আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. আহম্মেদ কামরুজ্জামান মজুমদার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি সারা দেশের শব্দদূষণের সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরে এর ক্ষতিকর দিক বর্ণনা করেন এবং শব্দদূষণ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।