সিলেটে হঠাৎ ডেঙ্গুর প্রকোপ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটে হঠাৎ করেই নতুন আতঙ্ক হয়ে এসেছে ডেঙ্গু। এই বর্ষার এ পর্যন্ত গত সিলেট বিভাগে ৮৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও শনাক্ত হয়েছে ১জন। এরই মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ৩টি ওয়ার্ডে পৃথক ডেঙ্গু কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।সিলেটে হঠাৎ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন, ঢাকায় এখন ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এখানে আক্রান্ত বেশীরভাগ রোগীই ঢাকা ফেরত।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সিলেট বিভাগে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় গোয়াইঘাট উপজেলায়। সেই রোগীর ঢাকা ভ্রমণের রেকর্ড পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ঢাকা ভ্রমণের সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটে প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। গত ৬ মাসে সিলেট বিভাগে ৮৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে বর্তমানে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান জানান, সিলেট জেলার ও নগরির পাশাপাশি বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হচ্ছেন।জানা গেছে, বর্তমানে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের ১২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ৪ জন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া সিলেটের গোয়াইনঘাট, মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ১ জন করে রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অপরদিকে ওসমানী হাসপাতালের ৩ টি ওয়ার্ডে পৃথক ৩ টি ডেঙ্গু কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিম করা হয়েছে। সেখানে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এ সময়ে সতর্ক থাকার কোনও বিকল্প নেই। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বিষয়ে যতœশীল হতে হবে। আর ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অন্যথায় বড় জটিলতা তৈরি হতে পারে।