সিলেট-চট্টগ্রাম রুট বেহাল,পুরনো ইঞ্জিন দিয়ে খুঁড়িয়ে চলে ট্রেন
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেট-চট্টগ্রাম রেল লাইনের অবস্থা শোচনীয়। লাইনটির অবস্থা এতই খারাপ যে,এই রুটে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম থেকে আমদানিকৃত ২০০ হর্স পাওয়ারের বেশি শক্তির ইঞ্জিনগুলো চলে না।পুরনো ইঞ্জিন দিয়ে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে চলছে সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস।জানা যায়, কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত ইঞ্জিনগুলো উচ্চগতির, ওজনও বেশি।অথচ সিলেট-চট্টগ্রাম রেললাইন সংস্কার করা হয়েছে বেশিদিন হয়নি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সবুক্তগীনের তত্ত্বাবধানে এই লাইনটি সংস্কার করা হয়েছিল।সংস্কারের জন্য বিপুল অর্থের বিন্দুমাত্র খরচ হয়নি। পুরো টাকাই লোপাট হয়েছে বলে তখন সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। যদি সংস্কার করা হতো তাহলে ২/৩ বছরের মধ্যে এই লাইনের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার কথা না। বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে একটি ট্রেন পৌঁছুতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হুন্দাই রোটেম থেকে আমদানিকৃত ২০০ হর্স পাওয়ারের
বেশি শক্তির ৩০টি ইঞ্জিন চলে না। কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত ইঞ্জিনগুলো উচ্চগতির। নড়বড়ে, পাথরবিহীন রেললাইনে উচ্চগতির ও অধিক ওজনের ইঞ্জিনগুলো চলতে পারে না। তাই নতুন ইঞ্জিনগুলো সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলের অনুমতি দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলের প্রকৌশল ও যান্ত্রিক বিভাগের দুই কর্মকর্তা জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জন্য ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনা হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকায়। কিন্তু দেশের পুরনো লাইনে এসব ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কারণ ২০০ হর্স পাওয়ারের বেশি শক্তির ইঞ্জিনগুলো অনেক বড়। এ কারণে এর ওজনও বেশি।রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের চিফ পাওয়ার কন্ট্রোল রায়হান মোস্তফা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত ৩০টি ইঞ্জিন সিলেট-চট্টগ্রাম ছাড়া প্রায় রুটে চলে। এই রুটে চলাচলের জন্য কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি।