সিসিক এর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা নদীখনন, দীঘি ও ছড়াগুলো উদ্ধারের নির্দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ আগামী বর্ষায় যাতে সিলেট মহানগরীতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।গত রোববার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।সভায় জুম-এর মাধ্যমে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সিলেট নগরীকে রক্ষায় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর জোর দেন।বিশেষ করে সুরমা নদী খনন, মহানগরের পুকুর-দীঘি উদ্ধার ও খনন এবং ছড়াগুলোকে শতভাগ উদ্ধার করার নির্দেশনা দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাড়ি ঘরের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গত রোববার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরো বলেন,অতি বৃষ্টি,পাহাড়ী ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। তবুও দুর্গত মানুষের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে।সভায় সিলেট মহানগরীর প্লাবিত এলাকার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী বর্ষায় যাতে বন্যার পানি নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং যে সকল এলাকায় নদীরপাড় নিচু সেসব পাড় উঁচু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া, সভায় প্লাবিত এলাকার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত, পুনঃনির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত বাসা-বাড়ির তালিকা প্রণয়ন এবং নগরকে বন্যামুক্ত রাখতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, সওজ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চতর সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।সভায় সিসিক কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সালেহ আহমদ সেলিম, শান্তনু দত্ত সন্তু, ফরহাদ চৌধুরী, রাশেদ আহমদ, ইলিয়াসুর রহমান, এস এম শওকত আমীন তৌহিদ. এ কে এ লায়েক, মো. সিকন্দর আলী, তারেক উদ্দিন তাজ, আব্দুল মুহিত জাবেদ, সোহেল আহমদ রিপন, মাসুদা সুলতানা সাকি, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, সিলেট মাহনগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী, জালালাবাদ গ্যাস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ মতিন, সড়ক বিভাগ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিক আহমদ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউল বারী তুহিন,শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (কলেজ) মো. নূর-এ-আলম, কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের আঞ্চলিক পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, দি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল হক পাটওয়ারী, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, নির্বাহী প্রকৗশলী আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ রেলওয়ে সিলেট স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস সিলেটের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান. বিআরটিএ সিলেটের মোটরযান পরির্দশক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. নাজিম খাঁন, বাংলাদেশ স্কাউটস সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান, সিসিকের আইটি কনসালটেন্ট মো. সাদাত হোসেন খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল প্রমুখ।