সিসিক নির্বাচন:নতুন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের আধিক্য পুরাতন ২৭-এ ১২৯ নতুন ১৫টিতে ১৫৮ প্রার্থী

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে সব মিলিয়ে ২৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরই মধ্যে নতুন ১৫ ওয়ার্ডেই প্রার্থী হয়েছেন ১৫৮ জন। নতুন ওয়ার্ডসমূহে গড়ে প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ১১ জন (১০.৫৩%)। আর পুরাতন ২৭ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ১২৯। এসব ওয়ার্ডে গড় প্রার্থী সংখ্যা ৫ জন (৪.৭%)। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদেও নতুন ওয়ার্ডগুলোতে প্রার্থী সংখ্যা বেশি। সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ডে মোট ৮৯ জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে পুরাতন ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী ৪৩ জন আর নতুন সংরক্ষিত ৫ ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪৬ নারী প্রার্থী। অনেক পাড়া-মহল্লায় নতুন প্রার্থীরা উত্তাপ ছড়াচ্ছেন মর্মেও অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সচেতন মহলেও জোর আলোচনা চলছে।
গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে নতুন ওয়ার্ডের কয়েকজন প্রার্থী জানিয়েছেন, নতুন ওয়ার্ডে তারা নতুন আবেগ নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। অনেকে আবার ইতিহাস হবার প্রত্যাশায় প্রার্থী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন’র সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘রাজনীতি এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। যে কারণে এখন যে কেউ প্রার্থী হতে চায় বা প্রার্থী হয়েছেন। অনেকে মনে করেন পাশ করতে পারলে অর্থ উপার্জনের একটা রাস্তা বের হবে। সত্যিকার অর্থে জনসেবার জন্যে প্রার্থী হলে তখন বুঝে-শুনেই প্রার্থী হওয়ার কথা। আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই আলোচনা চলছে। সত্যিকার অর্থে যিনি মানুষের জন্যে কাজ করবেন ভোটারদের সেই প্রার্থীকেই বেছে নেয়া উচিত বলে তার মন্তব্য।নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র তথ্য অনুযায়ী, নতুন ৩০নং ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১৯ জন প্রার্থী হয়েছেন। নতুন ৩৩ ও ৩৪নং ওয়ার্ডে ১৭ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া, নবগঠিত ২৮নং ওয়ার্ডে ৯ জন, ২৯নং ওয়ার্ডে ১০ জন, ৩১নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৩২নং ওয়ার্ডে ১০ জন, ৩৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৩৬নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ৩৭নং ওয়ার্ডে ১৩ জন, ৩৮নং ওয়ার্ডে ৯ জন, ৩৯নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ৪০নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৪১নং ওয়ার্ডে ১১জন ও ৪২নং ওয়ার্ডে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সংরক্ষিত নতুন ৫ ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত ১০নং ও ১১নং ওয়ার্ডে ৯ জন করে, ১২নং ওয়ার্ডে ৯ জন, ১৩নং ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১৩ জন ও ১৪নং ওয়ার্ডে ৬ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।এদিকে, সাধারণ ৪টি ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত দু’টি ওয়ার্ডে ২ জন করে প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ২, ৯, ১২ ও ১৯নং ওয়ার্ডে ২ জন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সংরক্ষিত ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।নবগঠিত ৩৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী বিজিত লাল দাস সংবাদকর্মীদের জানান, নতুন ওয়ার্ড, নতুন প্রার্থী-এর মধ্যে একটি সুন্দর আবেগ আছে। প্রথম নির্বাচন হিসেবে নতুন ওয়ার্ডে অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনপ্রিয়, নিজস্ব ভোট ব্যাংক-এই বিবেচনায়ই হয়তো প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী সংখ্যা বাড়ার পেছনে এটা একটি মূল কারণ। একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ, ক্লিন ওয়ার্ড তথা স্মার্ট ওয়ার্ড গড়াই তার লক্ষ্য বলে জানান তিনি।১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ আনোয়ারুছ সাদাত বলেন, সিলেট নগরির মধ্যে ১নং ওয়ার্ড হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু। এখানে হযরত শাহজালাল (রহ.) শায়িত আছেন। ভিআইপি ওয়ার্ড হিসেবে এখানে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। সবার সহযোগিতায় একটি সমৃদ্ধ, উন্নত, আধুনিক তথা স্মার্ট ওয়ার্ড গড়তেই আমি প্রার্থী হয়েছি।

You might also like