সিসিক নির্বাচন:প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হলো প্রচার যুদ্ধ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ বলা যায়, এতদিন চলছিল যুদ্ধে মহড়া। শনিবার সকাল থেকে শুরু হলো আসল যুদ্ধ। আর এ যুদ্ধ হচ্ছে মাইক, যানবাহন আর কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে।সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে শুক্রবার বিকেলে। প্রতিদ্বন্ধী মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই শুরু হয় প্রচার যুদ্ধ।বাংলাদেশের যেকোন নির্বাচন আসে উৎসবের আমেজ নিয়ে। সে জাতীয় হোক বা স্থানীয় সরকার। চায়ের কাপে ঝড় তোলার সাথে সাথে মিছিল-সভা-সমাবেশ-পথসভা-গণসংযোগ ইত্যাদিতে জমজমাট থাকে নির্বাচনী এলাকা।সে শহর কি বা গ্রাম, বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই প্রার্থীদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, সেই সঙ্গে হোটেল-রেস্টুরেন্টে ভিড়, ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা, চা-পান-মিষ্টি বিতরণ ইত্যাদি খুব চেনা দৃশ্য। তারপর আছে নির্বাচনী কার্যালয়গুলোতে আরও কত কর্মী সভা, পথসভা ইত্যাদি।এতদিন সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় মেয়র প্রার্থীরা কৌশলী প্রচারণা চালিয়েছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে গেলেও কারও মাইকের শব্দ শোনা যায়নি। চলেছে পাড়ায় পাড়ায় গণসংযোগ। বিতরণ হয়েছে লিফলেট।তবে নির্বাচনী আচরণবিধির খড়গের কারণে তা আর অতটা জমজমাট হয়নি। তবে এবার আর কোন বাঁধা থাকছে না। শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সিটি করপোরেশন এলাকার ৪২ ওয়ার্ডের নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডের ৩৬০ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৭ জন মেয়র প্রার্থী নেমেছেন প্রচার যুদ্ধে। পোস্টার-লিফলেট বিতরণ করবেন। মাইকে সুর উঠবে ‘মা বোনদের বলে যাই, …. মার্কায় ভোট চাই।’ তবে এবার প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থী ও সমর্থকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে। কারণ ইতোমধ্যে ২ মেয়র প্রার্থী আ’লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাপা’র নজরুল ইসলাম বাবুলকে শো-কজ করেছে নির্বাচন কমিশন।

You might also like