সিসিক নির্বাচন আনোয়ারুজ্জামান ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কুটু
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে মাত্র দুইজন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এরমধ্যে একজন হচ্ছেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু। তিনি সিসিকের মহিলা কাউন্সিলর নাজনিন আক্তার কনার স্বামী।২ মে মঙ্গলবার সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিডিয়া সেল (সিটি নির্বাচন) কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন। মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়ে হানিফ কুটু ৩ মে বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, এই সিলেট শহরে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ আমাকে গ্রহণ করবে। এই বোধ থেকেই আমার মনোনয়ন কেনা। আগামী ২২ অথবা ২৩ মে মনোনয়নপত্র জমা দেব।
তিনি বলেন, ১৯৮৬-৮৭ সালে ছাত্রলীগের ব্যানারে আমি ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্র সংসদে নির্বাচন করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এ সময় আমি
ইন্টারমিডিয়েটে ছিলাম। পরে ১৯৯১-৯২ সালে একই ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে নির্বাচন করে আমি সিলেট সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এছাড়াও আমি সিলেট জেলা ছাত্রলীগ এবং পরে জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলাম।মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু আরও বলেন, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে প্রশাসনসহ বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। তবে আল্লাহ চাইলে আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবো।
এদিকে, নির্বাচনে নেই বিএনপি। তাই বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর এখন পর্যন্ত প্রার্থী হওয়া নিয়ে নেই কোনো তোড়জোড়। তবে সিসিক নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছেন আ’লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।অপরদিকে, জাতীয় পার্টি প্রার্থী চূড়ান্ত না করায় এখনও কাউকে মাঠে সক্রিয়রূপে দেখা যাচ্ছে না। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওয়ালানা মুফতি মাহমুদুল হাসান কাজ করছেন মাঠে। উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনে ইভিএমে ভোট হবে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন।