সিসিক নির্বাচন: ৪২ কাউন্সিলর কে কোন দলের সমর্থক
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষে ৪২টি ওয়ার্ডে নতুন কাউন্সিলর পেয়েছেন নগরবাসী।। ৪২টি ওয়ার্ডের নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে আ’লীগ, বিএনপি, জামায়াতের প্রার্থীরা রয়েছেন। যাদের মধ্যে আ’লীগপন্থী আছেন ২২ জন। বিএনপিপন্থী ৮ জন, স্বতন্ত্র ৮ জন এবং জামায়াতের ৪ জন রয়েছেন।
আ’লীগপন্থী প্রার্থীরা হলেন-
২নং ওয়ার্ডে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বিক্রম কর সম্রাট। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদকম-লীর সদস্য। লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করে ২৩২৭ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৩নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েক। ঠেলাগাড়ি প্রতীকের এ প্রার্থী ২১৬২ ভোট পেয়েছেন।
৪নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন সাবেক যুবলীগ কর্মী শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ১৩৩৬ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৮নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর ও নগর আ’লীগের সহ-সভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাশ। ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করে ৩৩০১ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৯নং ওয়ার্ডে টানা পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও নগর আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মখলিছুর রহমান কামরান। ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ৪,৯৫০ ভোট পেয়েছেন তিনি।
১০নং ওয়ার্ডে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তারেক উদ্দিন তাজ। তাঁর প্রতীক ছিল ঠেলাগাড়ি।
১১নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রকিব বাবলু। তিনি কৃষক লীগের সিলেট নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক। ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,০১৮ ভোট পেয়েছেন তিনি।
১২নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মো. সিকন্দর আলী। তিনি আ’লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে নির্বাচন করেন তিনি।
১৩নং ওয়ার্ডে টানা ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও নগর আ’লীগের সদস্য শান্তনু দত্ত সন্তু। ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ২,৩০৪ ভোট পেয়েছেন তিনি।
১৫নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ছয়ফুল আমিন বাকের। তিনি আ’লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ২,৪৭৬ ভোট পেয়েছেন তিনি।
১৭নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ। তিনি আ’লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,০১৭ ভোট পেয়েছেন তিনি।
১৯নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর এসএম শওকত আমীন তৌহিদ। তিনি আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,৮৫২ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২০নং ওয়ার্ডে টানা পঞ্চমবারের মতো জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। তিনি নগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,১৩৯ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২২নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি চৌধুরী। মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে নির্বাচন করে ১,২৯৩ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২৩নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ। তিনি আ’লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ২,০৭১ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২৫নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন তাকবির ইসলাম পিন্টু। তিনি আ’লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,৫১২ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও নগর আ’লীগের সদস্য মোহাম্মদ তৌফিক বকস। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ৫,৩৮৭ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২৮নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন রায়হান হোসেন। তিনি আ’লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। রেডিও প্রতীকে নির্বাচন করে ১,৪১২ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৩২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ। লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করে ১,৭০৯ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৩৫নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,৮৮৩ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৩৬নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপু। ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে নির্বাচন করে ১,৯২২ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৩৮নং ওয়ার্ডে জিতেছেন মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি আ’লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ১৯৫৭ ভোট পেয়েছেন তিনি।
এদিকে, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ৮ নেতা-কর্মী বিজয়ী হয়েছেন। যারা হলেনঃ
১নং ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন সৈয়দ তৌফিকুল হাদী। নগর বিএনপি’র সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কৃত হন। ঝুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ১,৩৯৯ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৬নং ওয়ার্ডে টানা ৫ বারের মতো জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম। তিনি নগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। দলীয় সিদ্ধান্তে সদ্যবহিষ্কৃত হয়েছেন। লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করে ৪,১১৮ ভোট পেয়েছেন তিনি।
১৪নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুমিন। ওয়ার্ড বিএনপি’র এই সদস্য নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হন। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,৭৫২ ভোট পেয়েছেন তিনি।
১৮নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন এবিএম জিল্লুর রহমান। ওয়ার্ড বিএনপি’র এই সদস্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। মিষ্টিকুমড়া প্রতীকে নির্বাচন করে ২,১০২ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২১নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন। তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। যিনি লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
২৪নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন হুমায়ুন কবির সুহিন। ওয়ার্ড বিএনপি’র এই সদস্য দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় সদ্য বহিষ্কৃত হয়েছেন। ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,০৩৮ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৩৩নং ওয়ার্ডে জয় পান দেলোয়ার হোসেন। জেলা ছাত্রদলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে অংশ নিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ৯৮৩ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৩৯নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন আলতাফ হোসেন সুমন। তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় সিলেট জেলা ছাত্রদলের এই সভাপতি বহিষ্কৃত হয়েছেন। রেডিও প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,৩২৩ ভোট পেয়েছেন তিনি।
সিসিক নির্বাচনে জামায়াতের চার নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। তার হলেন-
৭নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ। লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করে ৩,৩১৯ ভোট পেয়েছেন তিনি।
১৬নং ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ। ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করে ২,১০৮ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২৭নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন আব্দুল জলিল নজরুল। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ১,৮৫৪ ভোট পেয়েছেন তিনি।
৩৭নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন রিয়াজ মিয়া। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ৮৪১ ভোট পেয়েছেন তিনি।
বাকি ৮ কাউন্সিলর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা হলেন-
৫নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ। যিনি ঝুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ২,৪৮৯ ভোট পেয়েছেন।
২৯নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন মাজহারুল ইসলাম শাকিল। তিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ১,৯৯০ ভোট পেয়েছেন।
৩০নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন রকিব খান। তিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ৯৫২ ভোট পেয়েছেন।
৩১নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন নজমুল হোসেন। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করে ১,০০৩ ভোট পেয়েছেন।
৩৪নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন জয়নাল আবেদীন। যিনি ক্যাপ প্রতীকে নির্বাচন করে ১,৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
৪০নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন লিটন আহমদ। যিনি ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে নির্বাচন করে ৮৯৬ ভোট পেয়েছেন।
৪১নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন ফখরুল আলম। যিনি ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করে ৯১৭ ভোট পেয়েছেন।
৪২নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন মতিউর রহমান। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ৯৬৯ ভোট পেয়েছেন।