সুনামগঞ্জে গোলাগুলির ঘটনায় ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, পুরুষশূন্য গ্রাম
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উফতিরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৭ মার্চ শুক্রবার শান্তিগঞ্জ থানায় উফতিরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুস ছত্তারের ছেলে ফারুক মিয়াকে প্রধান আসামি করে মোট ৭৩ জনের নাম উল্লেখপূর্বক মামলা দায়ের করেন গুলিবিদ্ধ নূর আলমের ভাই সাইফুল ইসলাম। মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী।শান্তিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উফতিরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর গুলি করার অভিযোগ উঠেছিল। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৩ জনকে আটক করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, উফতিরপাড় গ্রামের সাইফুল মিয়া এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে একই গ্রামের আমির আলীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। অভিযোগ রয়েছে গ্রামের ৪টি গোষ্ঠীর চাপে পরিবার নিয়ে আমির আলী অন্যত্র অবস্থান করছিলেন।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় এক আত্মীয় মারা গেলে মরদেহ দাফন করতে গ্রামে আসেন আমির আলী ও তার স্বজনরা। বুধবার দিনে আমীর আলীর বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে কিছু লোকজন উপস্থিত রয়েছেন- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষ চলাকালীন সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে নূর আলম (৩৫), উস্তার উল্লার ছেলে আলী পাশা (৪০) ও মনর উদ্দিনের ছেলে ফজলু মিয়া(৩০) গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়াও একজন নারীসহ আরও ১১ জন আহত হন। আহতরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। ফলে উফতিরপাড় গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন আহতদের পরিবার।শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার কর হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।