সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় সুরমা নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।সোমবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত পৌর শহরের ঘোলঘর পয়েন্ট দিয়ে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার তিন সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ মিঃ মিঃ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।গত ১৫ জুন প্রথম দফা বন্য এবং গত ১০ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়।ওই দুই দফা বন্যার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাওর পাড়ের মানুষজন।অনেক এলাকায় বন্যার পানি এখনো রয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জের বেশিরভাগ ইউনিয়নের মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
দুদফার বন্যায় শহরসহ জেলার ১১ টি উপজেলার এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রায় ৬০০ কিলোমিটার রাস্তাঘাট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। গ্রামীন কাচাপাকা রাস্তার ৩৫ কিলোঃ উপরে প্রটেকশন দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে হবে।জানা যায়, আড়াই হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।ইতিমধ্যে বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে তা পরিমাণের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা।অপরদিকে বন্যার পানিতে বিভিন্ন উপজেলায় নলকূপগুলো পানির নীচে তলিযে যাওয়ার কারণে বিশুদ্ধ পানীয় জলের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমনও তলিয়ে যাওয়া কৃষকরা তাদের গোবাধি পশুর গোখাদ্য সংকটে গোবাধি পশু নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, ‘আবারও বৃষ্টিপাত এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।সুনামগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, আবারো বন্যার আশষ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তাঘাটের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাগুলোর মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হবে।সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।