সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সুরমা’র পানি বিপদ সীমার ২৫ সেঃ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ ৫দিনের ব্যবদানে আবারো ও গত ৩-৪দিনের টানা অবিরাম বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় তৃতীয় দফা বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরের নতুন নতুন এলাকাসহ জেলার ছাতক-দোয়ারাবাজার, তাহিরপর বিশ্বম্ভরপুর ,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ,দিরাই ও শাল্লা এই সমস্ত উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ মানুষ।পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ ঘন্টায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শহরের ষোলঘর পয়েন্টস্থ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার বিপদ সীূমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে জেলার ছাতকের সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৫৫ সেন্টিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ পৌরসভা ও ছাতক পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ি পানির নীচে তলিয়ে গেছে।এছাড়াও ছাতক,সুনামগঞ্জ ও সিলেটের রাস্তাটি পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ শহরের কাজির পয়েন্ট,উকিলপাড়া,নতুনপাড়া,বড়পাড়া সাহেববাড়ি ঘাট,ষোলঘর হাজিপাড়া,জামতলাসহ অধিকাংশ এলাকার বাসাবাড়ি রাস্তাঘাট পানিতে নিমর্জ্জিত হয়ে পড়ায় রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে। মানুষজন খাদ্য সংকটে রয়েছেন চরম বিপাকে পড়ে খাদ্য সংকটে ভূগনে।সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় সূত্রে জানা যায়,যেভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে তাতে বন্যার আশংঙ্কা থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং বন্যায় কতহাজার পরিবার ঘরবন্দি হয়েছেন তাদের সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা না গেলে ও প্রায় লাখ মানুষ পানিবন্দি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এদিকে জেলায় রোপা আমন,সবজি ক্ষেত ও পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ও জানা যায়।
জেলা প্রশাসন জেলায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে জিআর ৬৭০ মেট্রিক টন জিআরের চাল ও নগদ ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের হাতে পৌছে দেয়া হয়েছে। ইইতমধ্যে প্রায় এক লাখ ২১ হাজার লোক পানি বন্দী রয়েছেন।এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং যারা বন্যা কবলিত হবেন তাৎক্ষনিক জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।