সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে টেন্ডারবাঁজদের দৌরাত্ব

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জ ২৫০শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জুন মাস শেষ হতে না হতেই নতুন বছরের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহ্বানের ডাকে ছুটে আসেন বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের চারপাশে মাসব্যাপী দেখা যায় বিভিন্ন টিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের আনাগোনা। প্রতিবছর নতুন কাজের সন্ধানে বসন্ত কোকিলের মতো ছুটে আসে তাদের প্রতিনিধিদল এসময় তাদের সাথে যোগদান শুরু করে ফাদঁপেতে বসে থাকা একটি কুচক্রি মহল। শুরু হয় আলোচনা সমালোচনার ঝড় পাশাপাশি কে পাবেন কে পাবেন না এই নিয়ে শুরু হয় ঝটলা এবং টেন্ডার বাজঁদের দৌরাত্ব। এসময় বিপাকে পরেন কর্তৃপক্ষসহ জনপ্রতিনিধিরা।

এক সুত্রে জানযায়, গত ১০মে ২০২০ইং তারিখে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিএএসজে/আউট সোসিং/২০২০/৮৮৬নং স্মারকে ২০২০-২০২১অর্থ বছরের সিভিল সার্জন সুনামগঞ্জ এর নিয়ন্ত্রাধীন ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য আউট সোসিং এর মাধ্যমে জনবল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পিপিএ-২০০৬,পিপিকার-২০০৮(সর্বশেষ সংশোধনসহ) এবং আউট সোসিং এর মাধ্যমে সেবাগ্রহন নীতিমালা ২০০৮ মেতাবেক আউট সোসিং জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট আহ্বান করা হয় দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এবং গত ৭জুন ২০২০ইং তারিখে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র সীলগালাকৃত বাক্সে টেন্ডার ড্রপিং করেন তাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে।

টেন্ডার ড্রপিং শেষ হতে না হতেই তাদের প্রতিনিধি ও কুচক্রি মহলের সদস্যরা বসন্ত কোকিলের মত ডাকতে ও গাইতে শুরু করেন আলোচনা সমালোচনা ।তারা কর্তৃপক্ষের ভাবমুর্তি বিনষ্টের ফাদঁ পেতে সরকারের সুনাম নষ্ট করার কাজে লিপ্ত থাকতে দেখা যায় প্রতিবছর একটি কুচক্রি মহলকে। এ ছাড়াও প্রতিবছর এমন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা ও বিভিন্ন অনিয়মের কথা বলে আন্দোলনের নামে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এই সুযোগ সন্ধানী মহলটি। যার কারনে অনেক সময় দোষ না করেও অনেকে প্রত্রিকার শিরোনামে অপরাধী হয়ে হেডলাইনে চলে আসতে হয় তাদেরকে। আর এসব করে থাকেন কিছু অসাধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায় থাকা স্থানীয় কিছু বসন্তের কোকিলেরা।এসময় নানান বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত । তদবির আর ফোনের আলাপ শুনতে শুনতে কান বাড়ি হয়ে উঠে অনেকের।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে ও সাধারণ মানুষজনের সাথে আলাপ করে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালসহ জেলার উপজেলা

গুলোতে এখন আর আগের মতো নাই। সুনামগঞ্জ জেলায় স্বাস্থ্যসেবা এখন তৃণমূলের মানুষের সেবা প্রদানে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলার পাশাপাশি সেবার মান ও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে মূলত নিরলসভাবে কাজ করে চলা ও তদারিকর পেছনে সব সময় মনিটরিং করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এম মান্নান, জেলা প্রশাসক,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঠিক পর্যালোচনায় সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে স্বাস্থ্যসেবা এখন এগিয়ে যাচ্ছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে।সঠিক ভাবে পর্যালোচনা করে সকলের সমন্বয়ে কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্র পিছে ফেলে সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে অভিজ্ঞ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিবেন কর্তৃপক্ষ এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাধারণ মানুষজনেরা।

You might also like