সেনা অভ্যুত্থানে আটক মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিমের পদত্যাগ
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
মালির: সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশে রক্তপাত এড়াতে বাধ্য হয়েই পদত্যাগ করেছেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা। অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সেনা সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তারের পর বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে তিনি নিজের এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে কেইতা বলেন, আজ সামরিক বাহিনীর কিছু অংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশে সেনা হস্তক্ষেপ জরুরি। আমার কি আসলেই কোনো পছন্দ আছে? আমি রক্তপাত চাই না। এ কারণে আমি এই মুহূর্ত থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসে বিদ্রোহী সেনাদের সঙ্গে ‘ভ্রাতৃ সুলভ আলোচনার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালে দেশটির রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে গুলি ছোড়ার মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানের শুরু হয়।এ দিকে রাজধানীতে বিদ্রোহী তরুণরা সরকারি ভবনে আগুন দিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা আগে সামরিক বাহিনীর অসন্তুষ্ট জুনিয়র অফিসাররা ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের আটক করেন। পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইকোওয়াস এবং দেশটির সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সও নৃশংস এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট কিয়েতার পদত্যাগ দাবিতে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী অফিসাররা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে নিজেদের জিম্মায় নিলেন। যদিও এবারের অভ্যুত্থানে ঠিক কতজন সেনা সদস্য অংশ নিয়েছেন এখন পর্যন্ত সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।অপর দিকে বিদ্রোহী সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অঞ্চলটির দেশগুলোর জোট দ্য ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)।
উল্লেখ্য,২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন কেইতা। যদিও দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি ছাড়াও জিহাদি হামলা ও জাতিগত সহিংসতার মতো ঘটনাগুলোর কারণে দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে জনরোষের মুখে ছিলেন তিনি। এবার মূলত এ কারণেই দেশজুড়ে সরকার পতনের আন্দোলন জোরাল হয়।সূত্র : আল-জাজিরা