সোবহানীঘাটে উচ্ছেদ অভিযান গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে অবৈধ দখলদারদের
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেট নগরির সোবহানীঘাট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৯টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়।সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরির প্রধান কয়েকটি সমস্যার একটি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। সামনের বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা যাতে না হয়, সেজন্য এখন থেকেই ছড়া-খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছে সিসিক।এ লক্ষ্যেই বুধবার সোবহানীঘাটে সবজি বাজারের পাশে গোয়ালিছড়া উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ছড়া দখল করে রাখা সব অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ছড়ার উপর অনেকেই ঢালাই দিয়েছেন, সেসব ঢালাইও ভাঙা হচ্ছে।অভিযানে মেয়র আরিফ ছাড়াও প্যানেল মেয়র তৌফিক বক্স লিপন, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, এসএম শওকত আমিন তৌহিদসহ সিসিকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান প্রসঙ্গে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সামনে বর্ষা আসছে। আমরা জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী চাই।’ তিনি বলেন, ‘সোবহানীঘাটে গোয়ালিছড়ার মেইন এক্সিট পয়েন্ট, যেটা সুরমা নদীতে গিয়ে পড়েছে। ছড়া থেকে সুরমা নদীতে গিয়ে যেখানে পানি পড়বে, সে জায়গা শুকনো। কিন্তু এর পেছনে ছড়ায় ৯ ফিট পানি রয়েছে! আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি, সবজি বাজার, অবৈধ দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা ফেলে ছড়াকে পুরোপুরি ব্লক করে দেয়া হয়েছে। ছড়ার দু’টো এক্সিট পয়েন্ট আছে পানি যাওয়ার, এরমধ্যে একটা সম্পূর্ণ বন্ধ, আরেকটা আংশিক বন্ধ। কাজেই বর্ষা আসার আগে আমরা এগুলো পরিষ্কার করে ফেলতে চাই। এজন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে শুরু করেছি।মেয়র জানান, সোবহানীঘাটের সবজি বাজার থেকে ময়লা-আবর্জনা ছড়ায় ফেলা হয়।এই সবজি বাজার দক্ষিণ সুরমায় সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, ‘সবজি বাজার এখানে থাকা কোনোভাবেই উচিত নয়। দক্ষিণ সুরমায় ট্রাক টার্মিনালের আশপাশে এই বাজার স্থাপন করা গেলে পণ্য নিয়ে ট্রাক আসা সহজ হবে, ট্রাক টার্মিনালে রাখা যাবে। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করবো, তারাও যাতে এখান থেকে নিজেরা সরে যাওয়ার চিন্তা করেন।আরিফ বলেন, ‘হুট করেই তো সরানো সম্ভব নয়, তবে আমরা চেষ্টা করছি, তারাও চেষ্টা করছে। যতো দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটা সরানো যায়, ততোই ভালো।’
ছড়া-খাল উদ্ধারে জোরালো অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন প্যানেল মেয়র তৌফিক বক্স লিপন ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।