স্ত্রী হত্যায় এসপি বাবুল আক্তারের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক নো অর্ডার আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবুর রহমান। বাবুল আক্তারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
গত বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবুল আক্তারকে জামিন দেন।আইনজীবী শিশির মনির জানান, হাইকোর্ট বিভাগ তাকে জামিন দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিতুর বাবা একটি আপিল দায়ের করেন। আপিলটি আজকে শুনানি হয়। শুনানি শেষে চেম্বার জজ আদালত তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ‘নো অর্ডার’ (হাইকোর্টের আদেশ বহাল) করেছেন। ফলে বাবুল আক্তারের জেল থেকে বের হতে আর কোনো বাধা থাকল না। আমরা আশা করি আজই তিনি জেল থেকে মুক্তি পাবেন কিছুক্ষণের মধ্যে।গত বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।
আসামিরা হলেন, বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।অভিযোগ গঠনের দিন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে আসামি বাবুল আক্তার হত্যা করেন। বাবুল আক্তার যখন ঢাকায় ছিলেন, তখন সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ৩০২, ২০১ এবং ১০৯ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়।মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে দুই হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ অভিযোগপত্র একই বছরের ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন আদালত।২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় মামলার বাদী ছিলেন তার স্বামী বাবুল আক্তার। তদন্তের পর আসামি হন তিনি।