হবিগঞ্জে আঞ্চলিক মহাসড়কে অটোরিক্সার বেপরোয়া দৌরাত্ম

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিএনজিচালিত অটোরিক্সার দখলে হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক। এসব অটোরিক্সার কারণে এলাকাবাসীর চলাফেরা দুরুহ হয়ে পড়েছে। চরম আকার ধারণ করেছে মানুষের ভোগান্তি।চালকরা রাস্তায় যেখানে-সেখানে অটোরিক্সা থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করেন। সড়কের উপরে অঘোষিত স্ট্যান্ড স্থাপন করে রেখেছেন তারা। এজন্য দিনভর যানজট লেগে থাকে ব্যস্ততম এ সড়কে।হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে ব্যস্ততম সড়কটিতে অটোরিক্সার রাজত্ব। সড়কের পুরোটাই তাদের দখলে। সড়কের হবিগঞ্জ শহর অংশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্ট্যান্ড বসিয়ে চলছে তাদের দৌরাত্ব।শহরের মোতালেব চত্বর থেকে রিচি ইউনিয়ন পরিষদের পরে আরও অনেক জায়গাজুড়ে সড়কের দু’পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় শ’ শ’ অটোরিক্সা। এ সড়কে একই অবস্থা লাখাই উপজেলার বামৈ এবং বুল্লা বাজারেও। এসব স্ট্যান্ড থেকে কিছু ব্যক্তির চাঁদা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এরফলে সড়কের মূল ফটক দিয়ে গাড়ি ঢুকতে কিংবা চলাচল করতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকি এই অটোরিক্সা অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দিনভর শহরের প্রবেশপথে অটোরিক্সায় যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে।স্থানীয়রা থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, থানার ওসি ও ইউএনও ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। তারা বলেন, হবিগঞ্জ-লাখাইয়ের মানুষ আর পুরনো কথা বলতে চান না, তারা চান এর দ্রুত সমাধান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শ’ শ’ গাড়ি চলাচল করে। হাজার হাজার মানুষ এ পথের যাত্রী। সিএনজি অটোরিক্সার অবৈধ স্ট্যান্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী উঠানামার কারণে মানুষের দুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে কোন উদ্যোগই নিচ্ছে না।এ বিষয়ে লাখাইয়ের ইউএনও মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, সড়কের উপর সিএনজি অটোরিক্সা দাঁড় করিয়ে রেখে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অটোরিক্সার স্থায়ী স্ট্যান্ড করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা খোঁজার প্রক্রিয়াও চলমান।

You might also like