হবিগঞ্জে চা শ্রমিকদের বকেয়া ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ ১ মাস ৪ দিন কর্মবিরতির পর মন্ত্রিপরিষদের হস্তক্ষেপে চা শ্রমিকদের ৪২ দিনের মজুরী ও ২০১৯-২০ সালের বকেয়া অর্থ ও বোনাসের ৫২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে মালিকপক্ষ।নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা সাগর আহমেদ জানান, ২৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের অফিসকক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রফিকুল আলম ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা পালের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের মাঝে বকেয়া মজুরী ও বকেয়া বোনাস হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নবীগঞ্জের ইউএনও ইমরান শাহরিয়ার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ারসহ শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এতে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের ৩৬০ জন শ্রমিকের ৬ সপ্তাহের বকেয়া মজুরী ও ২০১৯-২০ সালের এরিয়া অর্থ ও বোনাস বাবদ প্রত্যেক শ্রমিককে ১৪,৪৫০ টাকা করে দেয়া হয়েছে।গত ২১ জুলাই থেকে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ অর্থবছরের বকেয়া মজুরি/এরিয়ার অর্থ, এরিয়ার বোনাস ও শ্রমিক ভবিষ্যত তহবিলের প্রায় দেড় কোটি টাকা পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে। গত ২২ আগস্ট ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের সংকট সমাধানে মালিকপক্ষকে নিয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।এতে পর্যায়ক্রমে কিস্তি আকারে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর মন্ত্রিপরিষদের হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের ৬ সপ্তাহের মজুরী ও ২০১৯-২০ সালের এরিয়ার বকেয়া অর্থ-বোনাসের টাকা দেয়া হয়েছে। শ্রমিকরা খুব দ্রুত কাজে ফিরে যাবেন। তিনি চা শ্রমিকদের আন্দোলনে গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল আলম বলেন, ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চা শ্রমিকদের ৪২ দিনের মজুরি ও ২০১৯-২০ সালের এরিয়ার বকেয়া অর্থ-বোনাস বাবদ ৫২ লাখ টাকা আজ শুক্রবার বন্ঠন করে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সকল টাকা পরিশোধ করা হবে।চা শ্রমিকরা ২৬ আগস্ট শনিবার থেকে কাজে যোগ দেবে।

You might also like