হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত শতাধিক
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি-দুর্গাপুর গ্রামে বিবদমান দু’টি পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৭ মে রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিথঙ্গল ফাঁড়ীর একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে।বানিয়াচং থেকে সংবাদদাতা জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমড়ি দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আমিন ও তার লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের এডভোকেট আব্দুল হামিদসহ তাদের লোকজনের। রোববার দুপুরে এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বাকবিত-ার একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়। যদিও এডভোকেট আব্দুল হামিদের দাবী তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের বিপক্ষে একটি মানবপাচার মামলার বাদীপক্ষের উকিল। তাই এ ঘটনার জের ধরেই প্রতিপক্ষ তার উপর হামলা করেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফজলুর রহমান, এরশাদ আলী, নজরুল ইসলাম, রায়হান আহমেদ, রাসেল মিয়া, নিম্মত আলী, মো. নজরুল, সাইমুদ্দিন, জুয়েল চৌধুরী, জাকির হোসেন, সাহিদ মিয়া, ছায়েদ মিয়া, এমদাদুল হক, উসমান মিয়া, বিজয় মিয়া, মাসুদ মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, দিপু মিয়া, সায়মন হাসান, কাশেম মিয়া, সালেক মিয়া, রেজাউল, নার্গিস আক্তার, মাহমুদুল হক, রুকন উদ্দিন, রইছ মিয়া, রোমান মিয়া, নুরুল আমিন, সজিব আহমেদ, মুছা মিয়া, আমিনা বেগম, রায়দর মিয়া, নিহার বেগম, জেসমিন আক্তার, নিশাত রহমান, আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর, জোসনা আক্তারকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।