হাসিনা চৌধুরী সভাপতি ও নবেল সম্পাদক সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেট বিভাগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংস্থা সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ২০২৩-২০২৪ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ইতিহাস গড়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন হাসিনা বেগম চৌধুরী। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল। হাসিনা বেগম চৌধুরীর বিজয়ের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো নারী সভাপতি পেলো সিলেট জেলা প্রেসক্লাব। আর এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হলেন নবেল।সাংবাদিক অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন শীরুর সহধর্মিনী হাসিনা সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ্ ফরিদীকে মাত্র ৩ ভোটে পরাজিত করেছেন। শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল প্রতিদ্বন্ধী দেবাশীষ দেবুকে ৩৬ ভোটে পরাজিত করেছেন।নগরির পূর্ব জিন্দাবাজারের বারুতখানাস্থ সিলমার্ট কমপ্লেক্সে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ৩১ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সিলেটের সর্বস্তরের রাজনীতিবিদ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রেসক্লাব বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

নির্বাচনে কে কতো ভোট পেলেন
সভাপতি পদে হাসিনা বেগম চৌধুরী পেয়েছেন ৫৮ ভোট এবং লিয়াকত শাহ ফরিদী ৫৫ ভোট। সহ-সভাপতি (প্রথম) পদে মনিরুজ্জামান মনির ৫৬ ভোট, মুকিত রহমানী ৪৯ ভোট ও এস. সুটন সিংহ পেয়েছেন ১০ ভোট। সহ-সভাপতি (দ্বিতীয়) পদে সাঈদ চৌধুরী টিপু ৬১ ভোট এবং সজল ঘোষ পেয়েছেন ৫৩ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল ৭৫ ভোট এবং দেবাশীষ দেবু পেয়েছেন ৩৯ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে রবি কিরণ সিংহ (মাইস্লাম রাজেশ) ৬২ ভোট এবং মো. আব্দুল কাইয়ুম পেয়েছেন ৫০ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে আনন্দ সরকার পেয়েছেন ৭৩ ভোট ও সাদিকুর রহমান সাকী ৪২ ভোট। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে মিঠু দাস জয় ৭৯ ভোট এবং ইউসুফ আলী পেয়েছেন ৩২ ভোট। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সুলতান সুমন পেয়েছেন ৫৬ ভোট এবং মো. একরাম হোসেন ৫৩ ভোট । তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. এনামুল কবীর পেয়েছেন ৫৪ ভোট ও রায়হান উদ্দিন ৪৯ ভোট। পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. আবু বক্কর ৫৪ ভোট এবং মো. আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর পেয়েছেন ৫০ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে মো. আব্দুল আহাদ ৫৩ ভোট ও মনিরুজ্জামান রনি পেয়েছেন ৪৯ ভোট। ৪টি নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাহীন আহমদ পেয়েছেন ৬৮ ভোট, মাহমুদ হোসেন ৬০ ভোট, মো. আনোয়ার হোসেন ৫৭ ভোট এবং রনজিৎ কুমার সিংহ ৫৬ ভোট। প্রতিদ্বন্ধী এ এইচ আরিফ পেয়েছেন ৪৩ ভোট এবং মো. ছয়ফুল আলম অপু ৩৪ ভোট।
অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে দু’টি প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ ২৯ জন প্রার্থী অংশ নেন। নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ কে এম শমিউল আলম। এছাড়া নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট-এর সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী। ভোটগণনা শেষে সন্ধ্যায় তারা ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিাত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য চৌধুরী মুমতাজ আহমদ, বর্তমান কমিটির সভাপতি আল আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন, সহ-সভাপতি এস. সুটন সিংহ, সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ ও আবুল মোহাম্মদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, কোষাধ্যক্ষ মিসবাহ উদ্দীন আহমদ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শংকর দাস, দপ্তর সম্পাদক এস এম সুজন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সুমন, কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য ইউসুফ আলী, মাহমুদ হোসেন ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মিঠু দাস জয়।
অন্যদিকে নির্বাচনকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা প্রতিনিধিগণ। এরমধ্যে রয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য চৌধুরী মুমতাজ আহমদ, নগর আ’লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, নগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান ও হেপাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, নগর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, যুক্তরাজ্য আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আবদুল করিম চৌধুরী কিম, মহানগর পুলিশ এসএমপি’র সহকারী কমিশনার সামছুদ্দিন চৌধুরী, কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ, নগর স্বেছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ প্রমুখ।

You might also like