১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞ ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা
মতিয়ার চৌধুরী
সত্যবাণী
লন্ডনঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় জঙ্গিগোষ্টী আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবশে গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা । ‘’রাখে আল্লাহ মারে কে’’ অলৌকিক ভাবে তিনি বেঁচে যান শেখ হাসিনা। দলীয় নেতাকর্মিরা মানববর্ম রচনা করে সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান।আহত হন অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ১৭ আগষ্টে দেশ ব্যাপী একযোগে বোমা হামলা, ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা ও ১৯৭৫ এর হত্যাযগ্য সবই একই সূত্রে গাঁথা। এই হামলাকারীরা এখনও সক্রিয় তারা শেষ হয়ে যায়নি। আবারও নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। গতকাল ২১ আগষ্ট বিকেলে পূর্বলন্ডনের একটি রেষ্টুরেন্টে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নইমুদ্দিন রিজায়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী যৌথ পরিচালনায় সভার শুরুতে ২১ আগষ্ট ও দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিত মৌলানা সৈয়দ মাহমুদ আলী। আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হরমুজ আলী, যুগ্মসম্পাদক মারুফ চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এম এ কমির, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ভিপি খসুজ্জামান খসরু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক আলী, সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, আব্দুল হান্নান, কাজি বাকি বিল্লাহ,সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, যু্ক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আনজুমান আরা আঞ্জ, মল্লিক সাকুর ওয়াদুদ, যুবলীগ নেতা সরওয়ার কবীর, কামরুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, আব্দূল বাসির, মাহমদ আলী ও আফসার খান সাদেক প্রমুখ।