২০ মে’র মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস দিতে হবে : জিটিইউসি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (জিটিইউসি) ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনা, ঈদ বোনাস ও মে মাসের অর্ধেক মজুরি পরিশোধের দাবি জানিয়েছে।জিটিইউসির সভাপতি মন্টু ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দাবি জানান, আগামী ২০ মে এর মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেসিকের সমান ঈদ বোনাস, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন এবং মে মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করতে হবে। একইসাথে তারা সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে করোনা মহামারিকালে সকল ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে পুনর্বহাল, শ্রমিকের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কর্মরত অবস্থায় করোনা সংক্রমিত হলে সুচিকিৎসা ও উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চলমান মহামারি পরিস্থিতির আঘাতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের আইনসঙ্গত পাওনা পরিশোধ করা না হলে আক্ষরিক অর্থেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গার্মেন্ট টিইউসিসহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন বছরের পর বছর শ্রমিকদের জন্য রেশন ও বাসস্থানের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু দেশে অদ্যবধি শ্রমিকের জন্য রেশন-বাসস্থান কিংবা অন্য কোনো ধরনের সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। ফলে বেতন-ভাতাই দেশের শ্রমিকের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। এমতাবস্থায় চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে শ্রমিকের হাতে অর্থ না পৌঁছালে তার পক্ষে বাড়ি ভাড়া এবং খোরাকি ব্যয় যোগান দেয়া সম্ভব হবে না। যার ফলে দেশের প্রায় ৮০ ভাগ রফতানি আয় করা গার্মেন্ট শিল্পের দক্ষ শ্রমশক্তি দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির শিকার হবে।নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সামগ্রিক অর্থনীতির বিবেচনায় সমাজের ৭০ ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে এই মুহূর্তে টাকা পৌঁছানো সম্ভব না হলে এই বৈশ্বিক মহাবিপর্যয়ের সময়ে তার চরম মূল্য দিতে হবে; যা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির দিকেও গড়াতে পারে। তাই দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কর্তনের নীতি থেকে এখনই সরকারকে সরে আসতে হবে।