২৮ দিনের রিমান্ডে শাহেদ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ স্যার আমি অপরাধ করেছি।সব অপরাধের সঙ্গে আমি জড়িত।যারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তাদের সব টাকা-পয়সা আমি পরিশোধ করবো’—রবিবার (২৬ জুলাই) আদালতে শুনানি চলার সময় এসব কথা বলেন রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। এদিন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার পৃথক চার মামলায় ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী।রিমান্ড শুনানির সময় বিচারককে উদ্দেশ করে এসব কথা বলেন সাহেদ।
সাহেদ বলেন,স্যার আমি তো অপরাধ করেছি। সব অপরাধের সঙ্গে আমি জড়িত।যারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাদের সব টাকা-পয়সা আমি পরিশোধ করবো।গত ১২-১৩ দিন ধরে আমি খুব প্রেসারের মধ্যে আছি।আমি আর পারতেছি না।আমি অসুস্থ। ঈদের পর আমার রিমান্ড শুনানি হলে ভালো হয়।রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেক মামলায় সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার পৃথক তিন মামলায় ও উত্তরা পূর্ব থানার এক মামলায় ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা।র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়।একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়।রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিল।সাহেদের খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।এরপর বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারের পরই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।