প্রায় ২ হাজার শিল্পী-কলাকুশলীকে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ করোনা মহামারীতে অসচ্ছল ১ হাজার ৯৪৭ জন শিল্পী-কলাকুশলীকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে চলচ্চিত্র, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন ক্যাটাগরীর ১ হাজার ৯৪৭ জন শিল্পী, কলাকুশলী, প্রযোজক, পরিচালক, কর্মচারীকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তদের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) -এর ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ১৬৫ জন, বাংলাদেশ শুটিং হাউজ ওনার্স এসোসিয়েশনের কর্মচারী ৪২ জন, শুটিং ইউনিট মাইক্রোবাস চালক সমবায় সমিতির ১১৭ জন, বাংলাদেশ মিডিয়া লাইট ম্যান এসোসিয়েশনের ৪৪৭ জন, টেলিভিশন মিডিয়া মেকআপ আর্টিস্ট এসোসিয়েশনের ১১০ জন। প্রত্যেককে আড়াই হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-এর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২৩১ জন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র রূপসজ্জাকর সমিতির ৮০ জন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অঙ্গসজ্জাকর সমিতির ৪২ জন, বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাসিসট্যান্ট আর্ট ডাইরেক্টর সমিতির ১৫ জন, বাংলাদেশ মিডিয়া লাইট ম্যান এসোসিয়েশনের ৮৮ জন, সিনে স্থির চিত্র গ্রাহক সমিতির সদস্য ৩৫ জন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সহকারী ব্যবস্থাপক সমিতির ২৫৬ জন, সিনেমা হল কর্মচারী ৩২৫ জন, ডিরেক্টরস গিল্ডের কর্মচারী ৩ জনকে আড়াই হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।এই দুঃসময়ে শিল্পী-কলাকুশলীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়ে উনি আবারও প্রমাণ করেছেন তিনি (শেখ হাসিনা) মানবতার নেত্রী, তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি।
করোনা মহামারীতে অন্যান্য সেক্টরের মতো স্থবির হয়ে পড়েছে চলচ্চিত্র সেক্টর। নাটক-সিনেমা নির্মাণ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি সিনেমা হলগুলো বন্ধ হওয়ায় অস্বচ্ছল হয়ে পড়েছেন এ অঙ্গনের বহু কর্মী।করোনা মহামারীর শুরু থেকে কাজ হারানো অস্বচ্ছল ৫০ লাখ মানুষকে ইতোপূর্বে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সরকার।এছাড়াও কোভিড-১৯ মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং জীবিকা নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার (জিডিপির ৪ দশমিক ৩ শতাংশ) ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সেগুলো বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।