৭ দফা দাবিতে হবিগঞ্জে চা-বাগান শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট

সিলেট অফিস 
সত্যবাণী
৭ দফা দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন হবিগঞ্জের চা শ্রমিকেরা। চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দী, লালচান্দ ও মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগানের চা শ্রমিকরা এসব কর্মসুচি পালন করেন। হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও  মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন চা শ্রমিকরা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেউন্দি টি কোম্পানী লিঃ’র আওতাধীন দেউন্দী, লালচান্দ ও নোয়াপাড়া চা বাগানে ৩ সপ্তাহ যাবৎ শ্রমিকদের মজুরী, রেশন (তলব)ও বাগান বন্ধ রয়েছে। ফলে চা শ্রমিক পরিবারে শিশু, বৃদ্ধসহ শ্রমিকরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করছেন।
এছাড়াও চুক্তির ৪ হাজার টাকা, বাৎসরিক উৎসব বোনাস, মাসিক বেতনধারী কর্মচারিদের বেতন ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। অবিলম্বে তাদের দাবি না মেনে নিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, কেন্দ্রীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রবীন্দ্র গোড়, নোয়াপাড়া চা বাগানের সভাপতি কমেট নায়েক, সাগর বাউরি, খাইরুন আক্তার, অন্তর বাউরি, সুনো নিগম, সুনিল বিশ্বাস, সজল বাউরি, শুকলা ভৌমিক, যমুনা ভৌমিক, আশিষ মুণ্ডা প্রমুখ।
মানববন্ধনের পর হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন চা শ্রমিকরা। এতে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, ৩ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের মজুরী, রেশন (তলব) বাগান কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। মজুরী আটক রাখার ফলে চা শ্রমিক পরিবারে শিশু, বৃদ্ধসহ শ্রমিকগণ অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করছেন। বাগান কর্তৃপক্ষ বিসিএস-বিসিএসইউ সম্পাদিত চুক্তির (এরিয়ার) বকেয়া পাওনার তৃতীয় কিস্তির মোট ৪ হাজার টাকা প্রদান, বাৎসরিক উৎসব বোনাস দোল পূর্ণিমার বকেয়া বোনাস ১৭০০ টাকা প্রদান, চা শ্রমিকদের মজুরী থেকে কর্তনকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ডের চাঁদা এবং মালিকপক্ষের অংশসহ মোট ১৮ মাসের পিএফ চাঁদা পিএফ কার্যালয়ে জমা না করার কারণে শ্রমিকদের পিএফ সুবিধা থেকে বঞ্চনার অবসান, মাসিক বেতনধারী সর্দার, মিস্ত্রি, ড্রেসার, ইলেক্ট্রিশিয়ানদের ২ মাস ধরে বন্ধ বেতন পরিশোধ, চা বাগানের দাতব্য চিকিৎসালয়ে ঔষদধপত্র সরবরাহসহ সুলভ চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু, চা শ্রমিকদের বাসস্থান-ঘরবাড়ির দরজা-জানালা, ছাউনী ইত্যাদি তৈরি ও বন্ধ রাখা মেরামত ব্যবস্থা সচল ইত্যাদি।

You might also like