বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল লণ্ডনে অনুষ্ঠিত : ওসমানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সঠিক মূল্যায়নের দাবী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী মেমোরিয়েল ফাউণ্ডেশন ইউকের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৬তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ১লা সেপ্টেম্বর রবিবার পূর্ব লণ্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল রোডস্থ রয়েল বেঙ্গল হলে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।সংগঠণের সভাপতি আলহাজ্ব কবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সহ সভাপতি কে এম আবুতাহের চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খান জামাল নুরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকসুদ ইবনে আজিজ লামা ।বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন -সিলেট বিভাগ গণদাবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক শফিকুর রহমান ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আহবাব হোসেইন চৌধুরী ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম খান ,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা ,বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান ,বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল মাবুদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির খান ।সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ,সংগঠণের সহ সভাপতি শেখ মোঃ মফিজুর রহমান ,ট্রেজারার সৈয়দ সুহেল আহমদ ,ব্যারিষ্টার মাসুদ চৌধুরী ,ব্যারিষ্টার আব্দুস শহীদ ,সাইফুল ইসলাম খান,সাংবাদিক রহমত আলী ,কমিউনিটি নেতা মাষ্টার মুজিবুর রহমান ,সলিসিটর মোহাম্মদ ইয়াওর উদ্দিন ,বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহ এম এ মুনিম ,সাবেক কাউন্সিলার ওয়েছুল ইসলাম ,আমীর উদ্দিন আহমদ মাষ্টার,আলহাজ্ব জিল্লুল হক ,মইনুল ইসলাম খান প্রমুখ ।
সভায় বক্তারা বলেন -জেনারেল ওসমানী রণাঙ্গনে সঠিক নেতৃত্ব না দিলে বাংলাদেশ নয় মাসে স্বাধীন হতনা।তিনি ছিলেন সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রাণ পুরুষ ,একজন সৎ রাজনীতিবীদ ,সময়ের প্রতি নিষ্ঠাবান ও ধর্ম পরায়ন একজন সমর নায়ক ।তিনি ছিলেন বৃটিশ বীর ,পাক বীর ও বঙ্গবীর ।সভায় গৃহীত প্রস্তাবে রয়েছে -ওসমানীকে মরনোত্তর ফিল্ড মার্শাল খেতাব প্রদান ,জন্ম ও মৃত্যু দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন ,সকল শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকে বঙ্গবীর ওসমানীর জীবনী লিপিবদ্ধ করণ ,ওসমানী মিলিটারী একাডেমী বা ওসমানীর নামে ক্যান্টনমেনট স্থাপন ,ওসমানী বিমান বন্দরে সকল এয়ার লাইনের সার্ভিস চালু করার জোর দাবী জানানো হয় ।যুক্তরাজ্যে জেনারেল ওসমানীর নামে আরো স্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানানো হয় ।
সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন বিশিষ্ট। টিভি ব্যক্তিত্ব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ও কুরআন তেলাওত করেন মাওল্না নুরুল হক ।