কুড়িলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, হাজিরা বৃদ্ধি, বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার প্রগতি স্মরণী সড়ক প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন ইউরোজন ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা। এতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।ভোগান্তিতে পড়তে হয় ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ সদস্যদের হস্তক্ষেপে মালিকপক্ষের আশ্বাসে পৌনে ২টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, প্রগতি সরণির কুড়িল অংশে প্রথমে অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পরে শ্রমিকদের কিছু অংশ বিমানবন্দর-বনানী সড়কও অবরোধ করেন। এতে এই দুই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।রুনা নামের ওই গার্মেন্টসের এক কর্মী বলেন, আমাদের প্রতি মাসে ৭ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ১০-১১ মাস ধরে মালিকপক্ষ মাসের ১৫-২০ তারিখে বেতন দিচ্ছে। এতে আমাদের পরিবার নিয়ে কষ্টে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া আমাদের হাজিরাও কম। আমরা চাই আমাদের বেতন মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দেওয়া হোক।

সম্রাট নামের আরেক কর্মী বলেন, বর্তমানে অপারেটরদের হাজিরা ৪০০ টাকা আর হেলপারদের হাজিরা ৩০০ টাকা। আমরা চাই অপারেটরের হাজিরা ৭০০ টাকা ও হেলপারের হাজিরা ৬০০ টাকা। আমাদের বেতনও বাড়াতে হবে। আমাদের পাওনা ছুটি দিতে হবে। এগুলো কিছুই মালিকপক্ষ করে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।সড়ক অবরোধের কারণে প্রায় আড়াই ঘণ্টা প্রগতি সরণির এক জায়গায় বসে ছিলেন রাইদা পরিবহনের চালক পারভেজ। তিনি বলেন, বসে থেকে যাত্রীরা নেমে গেছে। পুরো বাস খালি। এ খালি বাস নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।এদিকে দুপুর পৌনে ২টায় পুলিশের হস্তক্ষেপে গার্মেন্টসটির মালিক পক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।এ বিষয়ে ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক) এসআই সিদ্দিক বলেন, শ্রমিকদের অবরোধের কারণে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ আগে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে। আমরা এখন যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।

You might also like